শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী যৌন হয়রানী ঘটনায়, সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ০০:০৪, আগস্ট ০৯ ২০২২ মিনিট

মোঃ বশির আহাম্মেদ// বরিশালের বাকেরগঞ্জে বহুল আলোচিত শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী যৌন হয়রানীর ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ১০ ধারা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে, মামলা নং ৫ । মামলার তারিখ ০৭/০৮/২২। মেয়ের মা প্রিয়া বেগম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। উল্লেখ্য বরিশালের বাকেরগঞ্জ বোয়ালিয়া জে.এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমান স্বপন খান কর্তৃক ছাত্রী কে অনৈতিক প্রস্তাব এবং যৌন হয়রাণীর অভিযোগে কয়েকদিন ধরে এলাকা জুড়ে তোলপার চলছিল। গত ৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ করে প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবি তুলে ধরেন। ভুক্তভোগি পরিবার গত ৩ আগস্ট বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বরিশাল জেলা শিক্ষা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। কিন্ত অদৃশ্য কারনে মামলা না নেয়ায় ৬ আগস্ট শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগি পরিবার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, যদি এই ঘটনায় কোনো বিচার না পায় তাহলে ঐ ছাত্রী আত্নহত্যা করবে । এই নিয়ে দেশের প্রথম শ্রেনীর বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রিনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ পেলে, নড়েচরে বসে প্রশাসন। ঐদিন রাতেই বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেন। অপরদিকে শিক্ষকের এমন অপকর্মকে ধামাচাঁপ দিতে উঠেপরে লাগে একটি কুচক্রী প্রভাবশালী মহল। বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিরোধের জের বলে চালাতে প্রচার চালায় তারা। এমন কি ঐশিক্ষকের স্ত্রীকে দিয়ে সাজানো সংবাদ সম্মেলন করে, তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। ভিকটিম আত্মহুতির হুমকি দিলে দূষ্টচক্র কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে উপজেলা চত্তরে একটি মানব বন্ধন করে আবারো তা ফেসবুকে প্রচার চালায় কথিত ফেসবুক সাংবাদিরা। কিন্ত মূলধারার সাংবাদিকরা দেশের প্রথম শ্রেনীর গণমাধ্যমে বিষটি প্রকাশ করলে তাদের সকল চক্রান্ত, অপবুদ্ধি ভেস্তে যায়। এদিকে মামলা হওয়ার পরে এলাকায় সস্তি নেমে এসেছে, তবে ভুক্তভোগী পরিবারটি বলেছে তারা এখন ভয়ে আছে, দ্রুত আসামী গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী তাদের। উল্লেখ্য বোয়লিয়া জে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমান স্বপন খান বিভিন্ন সময়ে ঐ ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব ও যৌন হয়রানী করে আসছিল, বিষয়টি এক পর্যায়ে ছাত্রী তার মা-বাবাকে জানালে, তারা বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের কছে লিখিত অভিযোগ করেন, এবং জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে ও বিচারের দাবীতে মহাসড়ক আটকে রেখে বিক্ষোভ করে। ইদ্রিসুর রহমান স্বপন খান এর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধীক যৌন কেলেংকারী রয়েছে।