বরিশালে কাঁচামরিচ ৩০০, বেড়েছে চাল-মুরগি-ডিমের দাম

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৫৫, আগস্ট ০৬ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশালের বাজারে বেড়েছে চাল, মুরগি, ডিম, কাঁচামরিচ ও বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে সরু ও মোটা চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। প্রতি হালি ডিমে বেড়েছে ২ টাকা। ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ। মাছের বাজারও চড়া। শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে নগরীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমনটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। সবজি বাজার ঘুরে জানা যায়, ফুলকপি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ১৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, চিচিঙা ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, আগাম শিম ২০০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা ও চাল কুমড়া ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আলু প্রতি কেজি ২৭-২৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি আদা ৮০ টাকা, চীনা আদা ১২০ টাকা, দেশি রসুন ৮০ টাকা, চীনা রসুন ১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৬৫ টাকা, খোলা চিনি ৮৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা দানার মসুর ডাল ১০০ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডাল ১৩০ টাকা কেজি নেওয়া হচ্ছে। বাজারে চালের দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে সরু মিনিকেট চাল ২ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা। একইভাবে ২-৩ টাকা বেড়ে ভালো মানের বিআর-২৮ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকা। ফারমের মুরগির দামও বেড়েছে। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা, ব্রয়লার ১৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা ও কক বা লেয়ার ২৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিমের হালিতে ২ টাকা বেড়েছে। প্রতি হালি ডিম এখন ৪২ টাকা। গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। বরিশালে কাঁচামরিচ ৩০০, বেড়েছে চাল-মুরগি-ডিমের দাম বাজারে মাছের দামও চড়া। বড় বেলে, আইড় ও নদীর চিংড়ি প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা হাঁকছেন বিক্রেতারা। বড় রুই ও কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা। চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৭০০ টাকা, কৈ ২৫০-২৭০, পাঙাশ ১৮০-২০০ টাকা, দেশি শিং ৯৫০-১০০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর পোর্টরোড বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে সব জিনিসের দামই বেশি। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। সামনে সবকিছুর দাম আরও বাড়বে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।’ নগরীর পোর্টরোড বাজারের খুচরা মুদি দোকানি জায়াত স্টোরের মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েকটি পণ্যের দাম সামান্য কিছু বেড়েছে। তবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মুদি পণ্যে এখনো প্রভাব পড়েনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচও বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে পরিবহন খরচ। এসব বিবেচনা করে বলাই যায়, শিগগির আরেক দফায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। পাইকারি আড়ত থেকে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।’