লোডশেডিং ও জনভোগান্তির প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৩৭, আগস্ট ০১ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥  বিদ্যুৎ খাতের দায়মুক্তি আইন বাতিল, দুর্নীতি লুটপাট ও অনিয়মকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ দেশব্যাপী অসহনীয় লোডশেডিং ও জনভোগান্তির প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০১ আগস্ট) সকালে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন। গণসংহতি আন্দোলনের বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক জননেতা দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির সদস্য সাকিবুল ইসলাম সাফিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিরাজ, সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইয়াসমিন সুলতানা, হাছিব আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি জাবের মোহাম্মদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জামান কবির ও সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ। এসময় নেতারা বলেন, দেশ আজ ভয়াবহ সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশে যে বিদ্যুৎ সংকট চলছে তাতে ইতোমধ্যে জনমনে নাভিশ্বাস উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে,এ সংকট আরো গভীর হবে। চলমান বিদ্যুৎ সংকটের ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সংবাদ আসছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এর মধ্যে সার উৎপাদন কমানো হয়েছে। যার ফলে অচিরেই দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। নেতা আরো বলেন, সীমাহীন অব্যবস্থাপনা, লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটই বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের জন্য দায়ী। কোনো ধরনের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই সরকার আমদানি নির্ভর জ্বালানি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছেন। যার খেসারত সারা দেশের জনগণকে দিতে হচ্ছে। সরকার এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার ঘোষণা দিলেও তা এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সারাদেশে গণদুর্ভোগ চলছে। সরকারের দ্যুৎখাতের সফলতার বাণী ফাঁকা বুলিতে পরিণত হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারলে সরকারকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এর দায় জনগণ নেবে না। নেতারা আরো বলেন, সরকার তার গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষার জন্য টেকসই জ্বালানি নিশ্চিত না করে যেমন আমদানি নির্ভর হয়েছেন তেমনি কতিপয় ব্যাবসায়ীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ভাড়াভিত্তিক রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ব্যবস্থায় ঝুঁকেছে। যার কারণে দেশের ভূ-ভাগের গ্যাস উত্তোলন কিংবা দেশীয় সক্ষমতায় জ্বালানি নির্ভর কোন পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের কথা বললেও সরকার ন্যূনতম কর্ণপাত করেনি। বরং সরকার বিদ্যুৎখাতের ক্যাপাসিটি চার্চ নামের লুটপাট, দুর্নীতির বৈধতা দেওয়ার জন্য দায় মুক্তি আইন পাস করেছেন। রোববার (৩১ জুলাই) ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, দেশে আজ ন্যূনতম নাগরিক অধিকার নেই। সভা-সমাবেশ ও বাকস্বাধীনতার অধিকার হরণ করে সরকার যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন তার বহিঃপ্রকাশ রোববার ভোলায় পুলিশি হামলা। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই। সরকার তার স্বার্থ রক্ষার জন্য দেশের সমগ্র প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে। নেতারা বলেন, আমরা বিদ্যুৎখাতসহ দেশের সর্ব ক্ষেত্রে শতভাগ জবাবদিহিতা চাই। প্রত্যেক কানাকড়ির হিসাব চাই। দেশে প্রত্যক নাগরিকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর। আমরা দেশের সবার প্রতি আহ্বান জানাই, প্রত্যেকের অধিকার আদায়ের জন্য, শতভাগ জবাবদিহিতার জন্য, শাসনব্যবস্থা গণতান্ত্রিক করার জন্য রাজপথের সংগ্রাম গড়ে তুলুন।