পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের মোবাইল ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা পঙ্কজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন। পঙ্কজ নাথের বক্তব্যের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা পার্কে দলীয় নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করেন।
নেতাকর্মীরা জানান, মেহেন্দিগঞ্জ থানার পরিদর্শক তৌহিদুজ্জামানের সঙ্গে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের মোবাইল কথোপকথন ভাইরাল হয়। সেখানে পঙ্কজ নাথ পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিন খানকে কোপানোর কথা বলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে তিন শতাধিক লোক লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করেন।
মইদুল ইসলাম বলেন, ‘পঙ্কজ নাথ মেহেন্দিগঞ্জকে সন্ত্রাসী জনপদে পরিণত করতে চাচ্ছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিনকে কুপিয়ে জখমের কথা বলেছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে। যে ফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে পঙ্কজ এমনটা বলতে পারে না। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে, তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেনি।’
মিছিল থেকে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাদল পাল এবং ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন হিমুর বাসার সামনে পটকা ফাটানোর অভিযোগ ওঠে। এ সময় মিছিলকারীরা একটি অটোরিকশা ভাঙচুর ও চালককে মারধর করেন। তারা পঙ্কজ নাথের ব্যানারও ভাঙচুর করেন।
পঙ্কজ নাথের অনুসারী সুজয় চন্দ্র বলেন, ‘মিছিল নিয়ে মইদুল ইসলামের লোকজন পঙ্কজ নাথের ব্যানার ভাঙচুর করেছে। ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আমরাও শো-ডাউন করেছি উপজেলায়।’
সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আমার যে কথোপকথন ভাইরাল করা হয়েছে তা এডিট করা। আমার বিরুদ্ধে তো ষড়যন্ত্র চলেই আসছে। এটা তারই অংশ। মিছিলের নামে আমার নেতাকর্মীদের বাড়ির সামনে পটকা ফোটানো হয়েছে।’
মেহেন্দিগঞ্জ থানার পরিদর্শক তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘সমাবেশ ও মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমার সাথে ফোনালাপের রেকর্ড কিভাবে ফাঁস হয়েছে তা জানা নেই।’