লকডাউন করা হলো বরিশাল নগরীর আমিরকুটির এলাকা

কামরুন নাহার | ১৯:০১, এপ্রিল ১১ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। প্রানঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এলাকাবাসির উদ্যোগে বরিশাল নগরীর আমিরকুটির এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এবং বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্ত দু'জন রোগীর মৃত্যু হওয়ায় এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও করোনামুক্ত রাখতে স্বেচ্ছায় লকডাউনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এদিকে নগরীতে যেকোনো ধরণের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। একই সাথে সাধারনের চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেন। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াত করা যাবে না। এমন কি বাজার করতে হলেও নিজের এলাকাতে করতে হবে। অন্য এলাকায় বাজার করাও চলবে না। সবাই নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। করোনার সংক্রমন ঠেকাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এই আহবানে সাড়া দিয়ে তা বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন এলাকার সচেতন নাগরিকরা। এদিকে লকডাউন করে নিজেদের নিরাপদ রাখতে আমিরকুটির এলাকার পাঁচটি প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এলাকার প্রবীন ব্যক্তি নওশের খান তালিম ও দৈনিক দেশ জনপদ পত্রিকার সম্পাদক মির্জা রিমনের উদ্যোগে কয়েকজন তরুন আসিফ, নোমান, সান ও সজীবসহ আরো অনেকের সমন্বয়ে এলাকার সকল প্রবেশপথ বন্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার নাগরিক মির্জা রিমন বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবং জীবন বাঁচাতে এই কর্মসূচির বিকল্প দেখছি না। তবে জরুরি প্রয়োজনে প্রবেশ পথ খোলা হবে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ কমিশনার মো: শাহাবুদ্দিন খান স্যারের সাথে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি একটি ভলান্টিয়ার কমিটি গঠন করে তাদের নাম সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলেছেন। শুধু তাই নয়, এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সকল ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি। এ ব্যাপারে ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিয়াকত হোসেন লাবলু বলেন, করোনার সংক্রামন থেকে রক্ষা পেতে স্বেচ্ছায় এলাকাবাসী যে উদ্যোগ গ্রহন করেছে তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বদাই আমি তাদের সাথে আছি। তাছাড়া আগামীকাল আমিরকুটির এলাকায় জীবানুমুক্ত স্প্রে ছিটানো হবে। অপরদিকে এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জেলা প্রশাসক এস.এম.অজিয়র রহমান বলেন, মানুষের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আমি শুনেছি ইতিমধ্যে নগরীর আমিরকুটিরসহ কয়েকটি এলাকায় জনগনের উদ্যোগে লকডাউন করা হয়েছে । মানুষকে ঘরে রাখতে এ ধরনের পদক্ষেপ এখন খুবই জরুরী। পাশাপাশি এ ধরনের কাজে সহযোগীতা করারও ঘোষনা দেন তিনি। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নূরুল ইসলামও সচেতনতামুলক এমন কাজকে উৎসাহিত করেছেন। তিনিও বলেন, যদি জনগন সচেতন থাকে আর পুলিশের বার্তাগুলো সবাই মানে তবে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের হাত রক্ষা পাওয়া যাবে। সেটি হবে সবার জন্য মঙ্গল।