রিফাত হত্যার ৩ বছর পার, মামলা ঝুলে আছে উচ্চ আদালতে
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তিন বছর পার হলেও উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে বিচারকাজ। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে।
সরকারি কলেজের এক ছাত্র নিজের মোবাইল ফোনে সেই ঘটনা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে।
বহুল আলোচিত সেই হত্যা মামলার তিন বছর পার হয়েছে। তবে উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে মামলার বিচারকাজ। এতে হতাশ নিহত রিফাতের পরিবার। দ্রুত বিচার শেষে রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তার স্বজনসহ এলাকাবাসী।
‘বন্ড বাহিনীর’ নৃশংস হামলায় তিন বছর আগে নিহত হন বরগুনার শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ। সেই থেকে ছবির মধ্যেই একমাত্র ছেলেকে খুঁজে বেড়ান তার অসুস্থ মা ডেইজি আক্তার। ছেলের শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাবা দুলাল শরীফও। এছাড়াও দণ্ডিত আসামিরা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা। তাই দ্রুত বিচার শেষে আসামিদের রায় বাস্তবায়নের দাবি রিফাতের পরিবারসহ এলাকাবাসীর।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাতের স্ত্রীসহ ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ওই বছরের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন জেলা শিশু আদালত। রায়ের পর দণ্ডিত সব আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। এখন সেই আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও এ মামলায় দণ্ডিত ১৭ আসামির মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ৫ জন জামিনে রয়েছেন।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, নিম্ন আদালতে আমার ছেলে হত্যা মামলার রায় দ্রুত হলেও ঝুলে আছে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। করোনা মহামারির সময় রায় কার্যকর না হলেও এখনো চলছে ধীরগতি। অতি শিগগিরই এই রায় কার্যকর হওয়া উচিত।
রিফাতের মা ডেইজি আক্তার বলেন, আমার ছেলে হত্যা মামলার রায় হয়েছে দুই বছর হলেও এখন কার্যকর হয়নি। রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়, সেটা আমি দেখতে চাই।
বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করেন আসামিপক্ষ। কোনো আপিল এখনো শুনানি হয়নি। সব আপিল শুনানির জন্য আছে। এই মামলার ৫ শিশু আসামি জামিনে আর ফাঁসির আসামিরা বিভিন্ন কারাগারে বন্দি আছেন।