১৫ বছরেও সংস্কার হয়নি কুমরাখালী সড়ক

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:৪১, জুন ১৯ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের কুমরাখালী থেকে চালিতাতলা ফকির বাড়ি যাওয়ার সড়কটি গত ১৫ বছরে একবারও সংস্কার হয়নি। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যাতায়াতকারী অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সূত্র জানায়, বরগুনা সদর উপজেলার ১‌ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের কুমড়াখালী চালিতাতলা গ্রামের ফকির বাড়ি নামক স্থানে ২০০৭ সালে ( রাস্তা পরিচয় নম্বর ৫০৪২৮৪০৪৪) ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে ইটের তৈরি সোলিং রাস্তা তৈরি করা হয়। বিগত ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ করা হয়নি। এতে করে এলাকার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন যাতায়াতে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে। স্থানীয় ৫০ হাজার বাসিন্দা ছাড়াও ওই সড়কে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার কৃষককে উৎপাদিত ফসল শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি জন্য নিয়ে যেতে হয়। বর্তমানে কুমরাখালি আবাসন এলাকা থেকে কুমরাখালি চালিতাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৩.৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০ ফুট প্রস্থ এ সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। খানাখন্দে ভরে গেছে রাস্তা। কখনও কখনও ছোটখাটো যান উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। কুমরাখালী গ্রামের গৃহিণী নুপুর জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় আমরা এখন খুব জরুরি না হলে শহরে যাই না। স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, রাস্তাটি খারাপ হওয়ার কারণে কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করে না। এতে করে অসুস্থ রোগী ও নিজেদের উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে যেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চাইলে নিজেদের অর্থায়নে রাস্তাটি সংস্কার করে দিতে পারে কিন্তু তারা তা করছে না। স্কুল শিক্ষক ডিগেন চন্দ্র হালদার  জানান, সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে আছি। ৯ কিলোমিটার পথ ঘুরে বরগুনা বাজারে আসতে হয়। এতে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি পরিবহন ব্যয়ও বেড়ে যায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান রাজা  জানান, কয়েক বছর ধরে সড়কটির কোনো প্রকার সংস্কার হয়নি। ফলে স্থানীয় গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন প্রতিনিয়ত। এই রাস্তাটি সংস্কার করা জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় রাস্তার অইডি নাম্বার দেওয়া হয়েছে। আশাকরি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ জানান, দুইবার প্রজেক্টে প্রস্তাব ও ইস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বরাদ্দ পেয়ে যাব। বরাদ্দ পেলে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ করে নতুন করে কাজ শুরু করা যেতে পারে।