নিজস্ব প্রতিবেদক॥ পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে আগামীতে বরিশাল শিল্প ও বাণিজ্য নগরী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। আরো বেশি গবেষণার মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ইতিবাচক প্রভাবগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত বলেছেন, পদ্মা সেতু শেষ নয়। এই সেতুকে কেন্দ্র করে নতুন করে শুরু হয়েছে। নতুন করে বহু অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, কৃষি জমি, পরিবেশ ও নদী সম্পদ করায় অনেক কাজ করতে হবে।
যা পদ্মা সেতু নির্মাণের চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি। আগামী একশ’ বছরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেতুর এক্সপার্ট প্যানেলের সদস্য ড. আইনুন নিশাত।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু ও এর আর্থ-সামাজিক তাৎপর্য’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক এক কনফারেন্সে উঠে আসে এসব আলোচনা। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ হলে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা অধ্যাপক, গবেষক, সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যায়ের এমিরিটাস অধ্যাপক ও পদ্মা সেতুর এক্সপার্ট প্যানেলের সদস্য ড. আইনুন নিশাত।
ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদক জয়ী সাংবাদিক ও কলামিস্ট মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশ গুপ্ত, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অসীম কুমার নন্দী।
কনফারেন্সে পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ের উপর মোট ২৩টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।