পরাজিত প্রার্থীর নেতৃত্বে থানা ঘেরাও, পুলিশের লাঠিচার্জ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৫৮, জুন ১৮ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ পটুয়াখালীর মহিপুর থানায় এক পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর ভাইকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানা ভবন ঘেরাও করেন ওই প্রার্থীর সর্মকরা। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ এবং পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা থানা ভবনে হামলা ও পুলিশের ওপর চড়াও হলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে পাল্টা অভিযোগ করে ওই পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা জানান, আমাদের প্রার্থীকে আটকিয়ে রাখার খবরে আমরা থানায় গিয়ে শান্তভাবে বসে থাকি এবং তাদেরকে অনুরোধ করি যে আমাদের প্রার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে গালাগালি করে হঠাৎ লাঠিপেটা শুরু করে। আমরা প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছি। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মহিপুরের লতাচাপলী ইউনিয়নের কবির মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় তার স্ত্রী শিউলি বেগম মামলা করলে পুলিশ ওই মামলার প্রধান আসামি খলিল ঘরামীকে আটক করে। তার কিছুক্ষণ পরেই ওই আসামির ভাই ২নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জলিল ঘরামী প্রায় ৩শ লোক নিয়ে এসে থানা ঘেরাও করেন। তাকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি লোকজন নিয়ে চলে না গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। এতে এসআই আ. হালিমসহ কনেস্টবল মিলন, ওবায়দুল, আবজাল এবং নারী কনেস্টবল শীলা ও নাসরীন আহত হন। আহতদের মধ্যে এসআই হালিমকে বরিশালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে, বাকিদের কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আ. জলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা আইনানুসারে ব্যবস্থা নেবো। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে দুই নারীসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।