থ্রী-হুইলারের দখলে মহাসড়ক, হকারদের দখলে ফুটপাত

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:৪০, জুন ১৫ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক , বাকেরগঞ্জ ॥ জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরের ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের একাংশ দখল করে দোকান ঘর নির্মানের পর চড়ামূল্যে ভাড়া দিয়েছে কতিপয় ব্যক্তি। অপর অংশ দখল করে থ্রী-হুইলারের স্ট্যান্ড নির্মান করা হয়েছে। পাশাপাশি হকারদের দখলে রয়েছে ফুটপাত। রীতিমতো ফুটপাতকেই মার্কেট বানিয়ে ফেলেছে হকাররা। ফুটপাত ও মহাসড়কের একাংশ দখলের কারণে বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের প্রবেশপথ সদর রোডসহ প্রতিটি মোড়ে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই রয়েছে। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল-পটুয়াাখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ডে থ্রী-হুইলার ও ইজিবাইকের স্ট্যান্ড বানিয়ে মহাসড়কের একাংশ দখল করে রাখা হয়েছে। ফলে জেলা ও আন্তঃজেলার বাস চলাচলে ব্যাপক বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। তেমনি ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় বাধ্য হয়ে মহাসড়কের ওপর দিয়ে মানুষ চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সূত্রমতে, সরকারী বাকেরগঞ্জ কলেজের সামনে মহাসড়কের ওপর বিভিন্ন রকমের দোকান তৈরি করে ভাড়া দিয়ে আসছে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি। ফলে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পরেছেন চরম বিপাকে। পৌর কাঁচা বাজারের সামনে হকাররা ফুটপাত দখল করে রাখায় বাজারে আসা সাধারণ মানুষ রিকসা কিংবা মোটরসাইকেল পার্কিং করার মতো জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না। উপজেলা চত্বর, বাকেরগঞ্জ চৌমাথা, বাকেরগঞ্জ সদর রোড, বাকেরগঞ্জ বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ফুটপাতে ছোট ছোট টং ঘর বানিয়ে তারমধ্যে চায়ের দোকান, ভাতের দোকান, ফাস্টফুডসহ কাপড় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালের ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। সূত্রমতে, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগ ঘটবে। এতে কয়েকগুণ যানবাহনের চাঁপ বৃদ্ধি পাবে। তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধণের আগেই মহাসড়ক দখলমুক্ত করে নিরাপদ সড়কের দাবী করেছেন সচেতন মহল। বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফুটপাত দখল করে বসেছে স্থায়ী দোকান। পাশাপাশি মহাসড়কজুড়ে চৌকি বসিয়ে নানারকম দোকানের পসরা বসিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ফলে একদিকে যেমন মানুষের চলাচল বিঘ্ন ঘটছে, অপরদিকে বাড়ছে তীব্র যানজট। প্রশাসনের চোখের সামনেই এ দুরাবস্থার সৃষ্টি হলেও কখনো এ অবৈধ স্থাপনা কিংবা হকার উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়নি। বাকেরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পৌর এলাকার ফুটপাত হকারমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও শৃঙ্খলায় ফিরে আসেনি হকাররা। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে এখন হকারদের দোকান ও মহাসড়কের দোকানের মালিকানা। প্রতিদিন ওইসব দোকান ও হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছেন ওইসব প্রভাবশালীরা। এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসের ডাকুয়া  বলেন, জনগনের দূর্ভোগ লাঘবে আধুনিক বাসস্ট্যান্ড ও পৌর কাঁচা বাজার নির্মান করা হয়েছে। তারপরেও কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে মহাসড়ক ও ফুটপাত দখল করে রেখেছে। তিনি আরও বলেন, আমি নিজে সরেজমিনে গিয়ে একাধিকবার তাদেরকে (দখলদারদের) মহাসড়ক ও ফুটপাত দখল মুক্ত করার অনুরোধ করা সত্বেও কোন সুফল মেলেনি। পৌর মেয়র বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সাগরকন্যা কুয়াকাটা পর্যন্ত যানবাহনের চাঁপ কয়েকগুন বেড়ে যাবে। বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে হলে বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করতে হয়। তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব দখলদারদের উচ্ছেদ না করলে তীব্র যানজটের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।