নির্বাচন অফিসের উদাসিনতার কারনে মাঝে ভোটাররা আর্থিক ও মানুষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক , ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠিতে জেলা নির্বাচন অফিসের উদাসিনতার জন্য জনসাধারণকে মাঝে মাঝে ভোগান্তিতে ফেলছে।এর ফলে ভোটাররা মানুষিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।রহিমা বেগম নামের এক নারীসহ প্রায় ৩০ জনকে অস্পষ্ট ও ব্যাবহার অনুপযোগী আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে।
রহিমা বেগম নামের এই নারী জানান মেয়ের ভর্তি পরীক্ষাজনিত কারনে আইডি কার্ডটি অত্যাবশ্যক হয়ে পরে। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন।
যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে গ্রাহকের নিকট মোবাইল ফোনে এসএমএস আসে। রহিমা সে আবেদনকৃত কাগজ নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে তার সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি চাওয়ার পর কর্মরতরা জানান, অনলাইন থেকে কার্ড সংগ্রহ করুন অফিস থেকে নিতে চাইলে ৭দিন পর আসুন। রহিমা শহরের কম্পিউটারের দোকানে যায়।
অবাক করা বিষয় কার্ডটি অনলাইনে নেই। জনৈক কম্পিউটার দোকান মালিক জানান কার্ডটি নির্বাচন অফিসে প্রিন্ট হয়ে আছে আপনি নির্বাচন অফিস থেকে নিতে পারবেন। রহিমা আবার নির্বাচন অফিসে যান। সকাল-১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এভাবে ঘুরেও কার্ড পায়নি রহিমা।
অবশেষে উপজেলা নির্বাচন অফিস ও জেলা নির্বাচন অফিস খুঁজে তার কার্ডটি পেলো। কার্ড হাতে পেয়ে রহিমা বেগমের খুশি হওয়ার কথা, কিন্তু কার্ডটি কার অস্পষ্ট ছাপার কারনে রহিমা বেগম নিজেও বুঝে উঠতে পারেনি এবং কার্ডটিতে রহিমার ছবিটি ছাড়া আর কোনো লেখার ছাপ পড়েনি।
সাথে সাথে উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন এটা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে দেয়া এবং কম্পিউটার অপারেটরের ত্রুটির কারনে এটা হতে পারে। নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার অপারেটর দাবী করেন, প্রিন্টার খারাপ থাকার কারনে এই ধরনের ছাপা হয়েছে।
সেগুলো পুনরায় আবেদন করে প্রিন্ট করে নিতে ২৩০টাকা ফি জমা দিতে হয়েছে। রহিমা প্রথম বার ২৩০টাকা জমা দিয়ে ব্যবহার অযোগ্য কার্ডটি পায় এবং আবারও তাকে ২৩০টাকা জমা দিয়ে কার্ড পেতে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শারমিন আফরোজ বলেন, তাঁর কিছু করার নাই, সার্ভারে ১টি কার্ড ফি ছাড়া ২বার প্রিন্ট হয় না। এই ত্রুটিপূর্ণ কার্ড জেলা অফিস থেকে দেয়া হয়েছিল। জেলা অফিসের প্রিন্টার খারাপ ছিল এবং তা মেরামত করা হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে কিছু কার্ড অস্পষ্টভাবে ছাপার কারনে কিছু ভোটার আর্থিক ও মানুষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তবে তাদের সংখ্যা ৩০ জনের মতো হতে পারে। এই ধরনের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী কার্ড অফিস থেকে বিতরন করা নির্বাচন অফিসের মানক্ষুন্ন করেছে।