বাকেরগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:২৪, জুন ১২ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ,বাকেরগঞ্জ,বরিশাল ॥ জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১১নং ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ এলাকার বাসিন্দা অসহায় স্ত্রী রহিমা বেগম যৌতুকলোভী স্বামী ইমরান সহ পরিবারের ছয়জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২৯ জানুয়ারি ২০২১ সালে পরিবারের সন্মতিতে ইসলামি বিধান মেনে কবিনামা রেজিস্ট্রার কর প্রায় পাঁচ লাখের বেশি টাকার মালামাল ও স্বর্ণালকার সহ পিতা রফিকুল ইসলাম স্বামী ইমরানের হাতে তাকে তুলে দেন। বিবাহের কয়েক মাস বেশ ভালো ভাবে কাটিয়ে দিলে ও পরবর্তীতে শুরু করে একের পর এক যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও নিপীড়ন। স্বামীর অত্যাচারে বেশ কয়েকবার পিতার নিকট হাত পেতে এনে ইমরানকে শান্ত করলেও। হঠাৎ করে মটরসাইকেল কেনার বায়না ধরে দুই লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে এতে রাজি হয় না রহিমা। স্বামী ইমরান সহ তার পরিবারের সদস্যরা মিলে একের পর এক নির্যাতন চালিয়ে যেতে শুরু করে। তাদের অত্যাচারে টিকতে না পেরে পিতার বাড়িতে চলে যার। কিন্তু বেশ কিছু দিন সে বাড়িতে থাকলেও কোনো খোঁজ খবর নেয়নি মাঝে মধ্যে শুধু মটরসাইকেল কেনার টাকার জন্য ম্যাসেজ দিত নয়তো ফেরত আসতে না করত এভাবে কিছু দিন কাটলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় পুনরায় স্বামীর বাড়িতে ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে গত ২ মে আসার পথে বাড়ির সামনের রাস্তায় বসে স্বামী ইমরান তার দাবিকৃত যৌতুকের টাকা নিয়ে আসছে কিনা জানতে চায়। তখন না বলার সাঙ্গে সঙ্গে স্বামী ইমরান, ভাসুর, ননদ, জা, শ্বশুর,শাশুড়ি মিলে এক জোগে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুত্বর জখম করে। রাস্তায় ফেলে রেখে যার এরপর নিরুপায় রহিমা বেগম বোনের সহায়তায় মেডিকেল এসে ভর্তি হয়। এ বিষয়ে রহিমা বেগম এ মা শাহিনুর বেগম জানান, থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকেই ইমরান গা ঢাকা দিয়েছে। থানায় অভিযোগ দেওয়ার কারনে আমার মেয়েকে তালাক দিয়েছে লোকমুখে শুনলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাগজপত্র আমাদের হাতে আসেনি। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ আলাউদ্দিন মিলন জানান এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি দ্রুত তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।