ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় আহত ২৮

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:৫১, জুন ০৫ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ তালতলী থানার ওসি জানান, শনিবার বিকেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. সুলতান ফরাজী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরাজী মো. ইউনুচের সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা, রামদাসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। বরগুনার তালতলী উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীক ও স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনায় অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজারে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে বরিশাল শের-এ-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা হয়েছে নৌকা এবং আনারস প্রতীকের দুটি নির্বাচনি অফিসসহ পাঁচটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি জানান, শনিবার বিকেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. সুলতান ফরাজী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরাজী মো. ইউনুচের সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষে লাঠিসোঁটা, রামদাসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামলাতে ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সুলতান ফরাজী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফকিরহাট বাজারে আমার নির্বাচনি অফিসের সামনে যুবলীগ সদস্যরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরাজী ইউনুচের ছেলে সুজন ফরাজীর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। ‘এতে আওয়ামী যুবলীগের অন্তত ১৩ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে আমার নির্বাচনি অফিস, জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও পাঁচটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’ আহত ১৩ নেতা-কর্মী হলেন হাফেজ ফরাজী, হোসেন হাওলাদার, মনির খান, আল-আমিন, মজিবর খান, মো. রাসেল, কামাল, লাল চান, শহিদুল, কামাল হোসেন, নিজাম মোল্লা, রুবেল ও হানিফ মোল্লা। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরাজী ইউনুচ জানান, ফকিরহাট বাজারে তার নির্বাচনি অফিসে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সুলতান ফরাজীর সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তার ছেলে সুজন ফরাজীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তার দাবি, হামলা চলাকালে বাজারে আসা সাধারণ মানুষও রেহাই পায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই এই অতর্কিত হামলা হয়েছে বলে তার ধারণা। তিনি আরও বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের মধ্যে আবুল হোসেন, কামাল, সুজন, নাসির, জাহিদ, রফিকুল, শহিদুল, জলিল শরীফ, বাসার এবং হাবিব হাওলাদারের নাম পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রাসেল নামের এক সমর্থকের খোঁজ মিলছে না।’ এ বিষয়ে তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।’ বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও জানান তিনি।