নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে উদ্ধার হওয়া চোরাই ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছে কোতোয়ালি মডেল থানার সদস্যরা। সঙ্গে আটক দুই যুবককে জেলহাজতে পাঠানো হলেও ছাগলটি নিয়ে বিপাকে আছেন তারা।
কোতোয়ালি মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল বরিশাল নগরের ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ সংলগ্ন তালভিটা দ্বিতীয় গলির মুখ থেকে তানজিম ও নাদিম নামে দুই যুবককে একটি চোরাই ছাগলসহ আটক করে ডিবি পুলিশ। পরেরদিন ডিবির এসআই ফিরোজ আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। যে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুই যুবককে আদালতে পাঠানো হলে, বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশশ দেন। তবে ছাগলটি রয়ে যায় কোতোয়ালি মডেল থানার হেফাজতে।
সেই থেকে দীর্ঘ প্রায় দেড়মাস ধরে ছাগলটির দেখভাল করছে থানা পুলিশ। এতে ছাগলের খাবার নিশ্চিত হলেও মল-মূত্রের দুর্গন্ধে অতিষ্ট পুলিশ সদস্যরা।
এক পুলিশ সদস্য জানান, এক মাসের বেশি সময় ধরে থানা ভবনের নিচতলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের রাখার কক্ষের সামনে বেঁধে রাখা হয়েছে ছাগলটি। সেটিকে খাবারও দিতে হচ্ছে। কিন্তু তার মলমূত্রের দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় ছাগলটি থানাতেই রাখতে হয়েছে। কোনো মালিক না আসায় ছাগলটি নিয়ে আমরা কিছুটা ঝামেলাতেই আছি।