১১ দিন পর তিন রুটে বাস চালু

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:৫৪, মে ৩০ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥  দুই জেলার মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের জেরে ১১ দিন বন্ধ থাকার পর বরগুনা-বরিশাল, কুয়াকাটা-পটুয়াখালী ও আমতলী-তালতলী রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এই তিন রুটে সোমবার সকাল থেকে বাস চলতে শুরু করেছে। এতে দূর হয়েছে যাত্রীদের ভোগান্তি। মালিক সমিতির দ্বন্দ্ব মেটাতে বরগুনা ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকদের উদ্যোগে রোববার বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক হয়। এতে অংশ নেন দুই জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বাস মালিক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। বরগুনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সগীর হোসেন জানান, রোববারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী জুন মাস পর্যন্ত অর্থাৎ তালতলী সড়ক সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত দুই জেলার সমান সংখ্যক গাড়ি চলাচল করবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস চলতে শুরু করেছে। পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘আগামী জুন মাস পর্যন্ত তালতলী সড়কে দুই জেলার সমান সংখ্যক গাড়ি চলবে। জুন মাসের পরে তিন জেলার মালিক সমিতির নেতারা বসে কিলোমিটার অনুপাতে ভাগ করে গাড়ি নামাবেন।’ এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা দুই জেলার বাস মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছি। বৈঠকে নেতারা সমানুপাতিক হারে তিন রুটে বাস চলাচলের বিষয়ে একমত হয়েছেন এবং এ অনুযায়ী সমঝোতা হয়েছে। যাত্রীদের আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।’ ২০১৯ সালে বরিশালে এবং ২০২১ সালে ঢাকায় বাস মালিক সমন্বয় পরিষদের সভা হয়। সভায় বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার বাস মালিক সমিতির মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছিল। সমঝোতা অনুযায়ী বরিশাল, কুয়াকাটা, পটুয়াখালী, আমতলী, তালতলী রুটে বরগুনা মালিক সমিতির সাতটি, পটুয়াখালীর পাঁচটি ও বরিশালের পাঁচটি বাস চলে। আমতলী-তালতলী সড়কে খানাখন্দের কারণে দুই বছর এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ১৫ মে আবার বাস চলতে শুরু করে। তবে পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতি ওই সড়কে নিজেদের বাস বন্ধ করে দেয়। তাদের বাসগুলো বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়ক ব্যবহার শুরু করে। এ নিয়ে বরগুনা ও পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ১৮ মে পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ডে পটুয়াখালী মালিক সমিতি বরগুনা-বরিশাল রুটে বরগুনার বাস আটকে দেয়। এরপর বরগুনা মালিক সমিতির লোকজন আমতলী বাসস্ট্যান্ডে পটুয়াখালীর বাস আটকে দেয়। তখন থেকে ১১ দিন বন্ধ থাকে বাস চলাচল।