করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে রাজধানীমুখী হচ্ছে মানুষ

কামরুন নাহার | ২১:৫১, এপ্রিল ০৪ ২০২০ মিনিট

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি উপেক্ষা করে রাজধানীমুখী হচ্ছে মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষত পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ট্রাকে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। আজ শনিবার সকাল থেকে ঢাকার প্রবেশপথে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ঢাকামুখী মানুষের ভিঢ় বেড়েছে বরিশাল নগরের রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় । অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে সব বাধা উপেক্ষা করে বিকল্প পথে এসব মানুষ ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি চলছে  তাই সকাল থেকেই ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে গাদাগাদি করে পোশাক শ্রমিকদের এই রুট দিয়ে ফিরতে দেখা যায়। কয়েকজন শ্রমিক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে পোশাক কারখানা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল থেকে কাজে যোগ দিতে হবে। তাই কষ্ট করে হলেও ফিরতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে  রোববার (৫ এপ্রিল) থেকে গার্মেন্টস ও বেসরকারি কোম্পানির অফিস খেলা থাকার কারণে এবং চাকরি টিকিয়ে রাখতে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ মোটরসাইকেল, কেউ ভ্যানসহ বিভিন্ন থ্রি হুইলার অথবা ট্রাকে চেপে বাড়তি ভাড়ার বিনিময়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি তেমন ভ্রুক্ষেপ করছেন না সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে গণজমায়েত বন্ধ ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বরিশালে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা জানান, এখন পর্যন্ত এক দোকান মালিকসহ মোট ১২ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। অপরদিকে পুলিশও সামাজিক দুরত্ব যেন বজায় থাকে সে দিকে লক্ষ্য রাখছে। তাই বাসস্ট্যান্ডসহ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজিত কুমার জানান, পুলিশ চেষ্টা করছে যাতে করে এক জায়গায় অনেক মানুষের ভিড় না করে। দিকে এ ঘটনা কেবল বরিশাল নগর নয়, বিভাগের অন্যান্য উপজেলা যেমন ঝালকাঠির বাসস্ট্যান্ডগুলোতে সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না। এবিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস.এম.অজিয়র রহমান জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।