নিজস্ব প্রতিবেদক॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের পূর্ব বাঁশবুনিয়া গ্রামের শেরুখার বাজার সংলগ্ন খালের ওপরে নির্মিত দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ আয়রন ব্রিজটি হঠাৎ ভেঙে পড়েছে। শনিবার বিকেলে পথচারি পারাপারের সময় ব্রিজটির এক প্রান্ত ভেঙে যায়। ব্রিজটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, বয়োবৃদ্ধ, শিশু, রোগী ও পথচারিদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। ফলে ইউনিয়নের বাণিজ্যিক বাজার, উপজেলা সদর ও স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যমটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ওই গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। অত্যন্ত জনবহুল এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। অতিদ্রুত ব্রিজটি মেরামত করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাৎক্ষণিক সরেজমিন পরিদর্শন করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাদল খান।
সরেজমিনে দেখা যায়, গলাচিপা উপজেলার পূর্ব বাঁশবুনিয়া গ্রামের শেরুখার বাজার সংলগ্ন খালের ওপরে নির্মিত আয়রন ব্রিজটির পশ্চিমপ্রান্ত একেবারে ভেঙে খালের পানির মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে। শনিবার ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটলেও মানুষ নিরাপদে তীরে এসে পৌঁছায়। তবে খালের দুই পাড়ে থাকা ওই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। কৃষকরা তাদের কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে পারছেন না। সময়মত তরমুজ, ধান, ডালসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে না পারায় চরম ক্ষতির সম্মুখিন হবেন বলে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা ব্রিজটি দিয়ে পূর্বপ্রান্ত থেকে পার হয়ে যাওয়ার সময় পশ্চিমপ্রান্তে পৌঁছালে হঠাৎ একটা শব্দ আসে। এতে আমরা দ্রুত ব্রিজ থেকে নেমে যাওয়ার সময় পুরো ব্রিজটি ভেঙে পড়ে নিমিষেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ওই গ্রামের মো. বাচ্চু শরীফ বলেন, অনেক পুরনো লোহার ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় আমরা এখন এপার থেকে ওপারে যেতে পারছি না। এতে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হইতেছি আমরা। ব্রিজটি নতুন করে তৈরি না হলে আমাদের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য বাদল খান বলেন, ব্রিজটি আসলেই দু’পারের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আমখোলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মনির হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাবো। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
