মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ঘুষবানিজ্য ফাঁস (ভিডিও)

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৫২, মার্চ ১৪ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥  গত ডিসেম্বর মাসে মেহেন্দিগঞ্জে নতুন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান। যোগদান করেই তিনি ঘুষের বানিজ্যের মাধ্যমে নিজের আয় উপার্জন বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন পদেক্ষেপ নিয়েছেন নিজ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মচারীদের কাছ থেকে। হাসপাতালের নার্সদের কাছ থেকে তিনি কৌশলে ঘুষ বানিজ্যের চেষ্টা করছেন। তিনি আসার পর অরিয়েন্টেশন ফর নার্সে এর ট্রেনিং এর জন্য নার্স মুক্তা ও স্বর্নার কাছ থেকে এক হাজার করে ঘুষ নিয়েছেন।এই ঘুষ তিনি সরাসরি না নিয়ে তার অফিসের হেডক্লার্ক এর মাধ্যমে নিয়ে থাকেন। ট্রেনিং এর ঘুষ নেওয়ার পর নার্সদের মাঝে অনেক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হলেও থেমে থাকেনি নতুন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান এর ঘুষবানিজ্য।তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে যান ঘুষ বানিজ্যের জন্য। অফিসের হেড ক্লার্কের মাধ্যমে নতুন করে ঘুষ দাবি করেন নার্সদের শ্রান্তিবিনোদনের টাকার অনুমতি দিতে গিয়ে, এই বিষয়ে কয়েক জন নার্স প্রতিনিধিকে বলেন- হেডক্লার্ক জন প্রতি ১ হাজার টাকা দাবি করলে নার্সগন তার কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান- স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান স্যার আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ১হাজার করে টাকা নেওয়ার জন্য। আপনাদের কিছু বলার থাকলে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন।আমার এখানে কিছু করার নাই,পরে নার্সগন সম্মিলিতভাবে ডাঃ মনিরুজ্জামানের কাছে অফিস কক্ষে দেখা করলে তিনি বলেন- হেডক্লার্কের সাথে কথা বলে এক হাজার টাকা কাটছাট করে মিনিমাইজ করে ম্যানেজ করে নেন।এতে নার্সগন অসম্মতি জ্ঞাপন করে বলেন- স্যার সব জায়গায় তো টাকা দেওয়ার নিয়ম নাই। আমরা তো আগে কখনো এই রকম ঘুষ দেই নি বা অফিসে কখনো কোন কাজে টাকা দেওয়া লাগেনি, এর উত্তরে ডাঃ মনিরুজ্জামান বলেন-আগে কি হইছে না হইছে তা শুনতে চাই না, আগের কথা বলবেন না,সব কিছু কি স্থিতিশীল সব কিছু কি এক রকম থাকে, আগে আপনি যা খেয়েছেন এখনো কি তা খান।আমার উপরের স্যারদের ম্যানেজ করতে হয়।অফিসের একটা চেইন আছে।ডেকোরাম আছে,আপনি চেইন ভেংগে একা কাজ করতে পারবেন না। নার্সরা এর উত্তরে বলেন-স্যার হেডক্লার্ক যা চাইছে তাই দিতে হবে? মনিরুজ্জামান বলেন- যান তার সাথে কথা বলেন,সে যেভাবে চাইছে সেভাবে করেন, নার্সরা বলেন- স্যার, এতে কোন সমাধান তো হলে না।হেডক্লার্ক তো বলছে আপনি মানছেন না এজন্য স্যার আমরা আপনার কাছে আসছি,এই রকম তো বিগত স্যারেরা কেউ করেনি,এর উত্তরে ডাঃ মনিরুজ্জামান বলেন- বিগত দিনের রেফারেন্স টাইনেন না সামনে চাকুরী করেন কাল কি হবে তা কেউ জানে না,পিছনের রেফারেন্স কেন টানেন বলে তাদের অফিস কক্ষ থেকে বের জেতে বলেন,ঘুষের টাকা না দেওয়ায় ডাঃ মনিরুজ্জামান নার্সদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের সব ধরনের ট্রেনিং না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন,এই খবরে আবারো নার্সগন ডাঃ মনিরুজ্জামান এর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের আর কোন ট্রেনিং এ পাঠাবেন না বলে তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর সাথে চুক্তি করে অত্র হাসপাতালের রুগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা হাসপাতালে না করিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে টোকেনের মাধ্যমে পাঠান এবং প্রতিদিনের ভাগের টাকা নিয়ে নেন।এতে গরীব রুগীরা হাসপাতালের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের মধ্য অসন্তোষের সৃষ্টি হচ্ছে,খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, ডাঃ মনিরুজ্জামান আসার পর হাসপাতালের খাবারের মান দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে কিন্তু তিনি বিষয়টি জেনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না , এই বিষয়গুলো নিয়ে ডাঃ মনিরুজ্জামানের বক্তব্য জানতে চাওয়ার জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।