বরিশালে অসময়ে প্রচুর ইলিশ, জেলে ও ব্যবসায়ীরা খুশি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:১৫, মার্চ ০৮ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ অসময়ে রূপালী ইলিশে সয়লাব বরিশালের মোকাম। ইলিশ বেচা-কেনায় সরগরম দক্ষিণের সর্ববৃহৎ এই মোকাম। অসময়ে বিপুল পরিমাণ ইলিশ আসায় খুশি ব্যবসায়ীরা। অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে আরও বেশি ইলিশ আসতো বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। এদিকে বাজারে বিপুল সরবরাহ থাকলেও চড়া দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত মূল্যে অসন্তুষ্ট ক্রেতারা। অতীতের নিষেধাজ্ঞা সফল হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি ইলিশ আহরণের প্রত্যাশা মৎস্য বিভাগের। ইলিশের দেশ বরিশাল মোকামে ইলিশের আমদানি থাকে সারা বছর। সাধারণত শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসকে ইলিশের ভরা মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। গত কয়েক বছর ধরে বরিশাল অঞ্চলে শীতের শেষ দিকে ইলিশের আহরণ বাড়ছে। এবারও শীতের শেষে এবং ফাল্গুনে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ মাছ। অসময়ে প্রচুর ইলিশ আহরণে খুশি জেলে ও ব্যবসায়ীরা। বরিশালের পাইকারি বাজারে মঙ্গলবার দেড় কেজি সাইজের প্রতি মণ ইলিশ ৫২ হাজার টাকা, ১ হাজার ২০০ গ্রাম সাইজের প্রতি মণ ৪৮ হাজার টাকা, কেজি সাইজের প্রতি মণ ৪২ হাজার টাকা, এলসি সাইজ (৬শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম) ৩৬ হাজার এবং ভেলকা সাইজের ইলিশ ২৪ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। মোকামে আসা ইলিশ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এ কারণে ক্রেতার দেখা তেমন মিলছে না। বেশি লাভের আশায় ওই ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে বাজারে প্রচুর ইলিশের সরবরাহ থাকলেও চড়া দামে অসন্তুষ্ট ক্রেতারা। তারা বলেন, বরিশাল মোকামে আসা ইলিশ পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ কারণে স্থানীয় বাজারে ইলিশের সংকট রয়েছে। বাধ্য হয়ে চড়া দামে ইলিশ কিনতে হচ্ছে তাদের। বরিশাল জেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে বরিশালের নদ-নদীতে ৬৫ দিনের জন্য ইলিশ আহরণ বন্ধ রয়েছে। তারপরও প্রতিদিন মোকামে দেড়শ’ থেকে ২শ’ মণ ইলিশ আসছে। ভরা মৌসুম না হলেও গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় নদ-নদীতে আহরিত ইলিশে খুশি জেলে ও ব্যবসায়ীরা। সরকারের ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফল হওয়ায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে দাবী তার। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে আরও বেশী ইলিশ আহরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।