মৃত ব্যক্তির ব্যাংকের টাকা কে উত্তোলন করছে?

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:০০, মার্চ ০২ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে পোস্ট অফিসে স্থায়ী আমানত প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে শাখা পোস্ট মাস্টার রেভা রানী সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে ডাক বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন মৃত কুলসুম বেগমের ছেলে টুটুল আকন। জানা যায়, বরগুনার বেতাগী উপজেলায় মারা যাওয়ার ১৪ দিন পর উপজেলা পোস্ট মাস্টার রেভা রানী সমাদ্দল মৃত ব্যক্তির টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেতাগী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যগুদাম এলাকার বাসিন্দা মো. টুটুল আকনের মা কুলসুম বেগম গত ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি জীবিত অবস্থায় বেতাগী উপজেলা ডাকঘরে ১ লাখ টাকার একটি মেয়াদী সঞ্চয়ী আমানতের হিসেব খোলেন ( যার নম্বর-এফডি ২১৭৫৫)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আমানতকারীর নমিনী কিংবা ওয়ারিশগণের ডেপুটি পোস্ট মাস্টারের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা প্রমাণিত হলে তিনি মঞ্জুরি আদেশ প্রদানের পর গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দেওয়া যাবে। কিন্ত কুলসুম বেগমের ছেলে টুটুল আকনের অভিযোগ মায়ের শোক কাটিয়ে ওঠার পর স্থানীয় শাখা ডাকঘরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন গত বছরের ২৭ অক্টোবর মৃত মায়ের আমানতের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। শাখা পোস্ট মাস্টার স্বাক্ষর জাল করে টাকা উঠিয়ে আত্মসাত করেছেন। এছাড়াও বেতাগী পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. আলম হাওলাদারসহ একাধিক গ্রাহক বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন, বর্তমান পোস্ট মাস্টার এখানে যোগদানের পর থেকেই গ্রাহককে অবহেলা, তাদের প্রতি দুরব্যবহার ও অফিস খরচের নাম করে গ্রাহকের প্রাপ্য আমানতের মুনাফা থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। খরচ দিলে দ্রুত টাকা মেলে আর না দিলে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হওয়ায় গ্রাহকরা দিন দিন চরম ক্ষুব্দ হয়ে উঠছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেতাগী উপজেলা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার রেভা রানী সমাদ্দার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা উত্তোলন তো দূরে থাক, এমন কোনো আমানত এখানে ছিল বলে জানা নেই। সঠিক কাগজপত্র নিয়ে না আসায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও গ্রাহকদের অনেক সময় ফিরিয়ে দিতে হয়। এতে গ্রাহকরা ক্ষুব্দ হয়। মৃত কুলসুম বেগমের ছেলে টুটুল আকন  বলেন, আমার মৃত মায়ের ব্যাংকের টাকা কে উত্তোলন করছে? বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুহৃদ সালেহীন   বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।