চলাচলে অক্ষমদের বাড়িতে গিয়ে দেওয়া হচ্ছে টিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ চলাচলে অক্ষম কিন্তু কোভিড-১৯ এর টিকা নিতে পারবেন এ ধরনের নাগরিকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টিকা দিচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশন।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সারাদেশের সঙ্গে বরিশালেও চলছে বিশেষ গণটিকা কার্যক্রম।
এ কার্যক্রমের আওতায় যারা এখনও করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিতে পারেননি তাদের সহজেই মিলছে টিকা। তাই সকাল থেকেই বরিশাল নগরের নির্ধারিত ও মোবাইল টিম মিলিয়ে ৩০টির মতো টিকাদান কেন্দ্রে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
বেশ উৎসাহ নিয়েই সব শ্রেণি, বয়স ও পেশার মানুষ টিকাদান কেন্দ্রে এসেছেন এবং কোনো ধরনের ঝক্কি ছাড়াই টিকা গ্রহণ করতে পেরেছেন। সেইসঙ্গে চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের খোঁজ পেলেই তাদের বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ কাজে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সেচ্ছাসেবক ও কর্মকর্তাদের সহায়তা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
বাড়িতে থেকেই টিকা নিতে পেরে বরিশাল সিটি করপোরেশনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সুমন নামে এক যুবক বলেন, বাবা চলাচলে অক্ষম, বহুদিন ধরে বিছানায় দিন কাটছে তার। তাকে মহামারি কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়া যাবে তা কখনো বুঝতে পারিনি। মোবাইল টিমকে জানানো হলে তারা মুহূর্তের মধ্যে বাসায় এসে বাবাকে কোভিড-১৯ এর প্রথম ডোজ টিকা দিয়ে গেছেন। এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই।
রাজিব নামে অপর এক রোগীর স্বজন বলেন, নাগরিক সেবা যে এভাবে ঘরে বসেই পাবো তা কখনও ভাবিনি। মেয়রের কারণে বিছানায় থাকা বৃদ্ধা মাকে টিকা দেওয়া সম্ভব হলো। যারা এসেছে তাদের ব্যবহারও ছিল কল্পনাতীত। আর এ কারণে সিটি মেয়রের কাছে আমরা পরিবারের সবাই কৃতজ্ঞ। এ ধরনের উদ্যোগ আগে কখনো দেখিনি।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গোটা বরিশাল বিভাগে ৯৮ লাখ জনসংখ্যা। এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকার আওতায় আসছে ৫৯ লাখ ১৩ হাজার মানুষ। সেই হিসেবে এ বিভাগে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ৬০ শতাংশের কিছু বেশি। আর এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৪৬ লাখ ২৬ হাজার মানুষকে। আর তৃতীয় ডোজ নিয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ।
প্রথম ডোজের হিসেব অনুযায়ী ৭০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে এক্ষেত্রে আরও ৮-১০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে।