আট বিভাগের মধ্যে টিকা গ্রহণে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান বলেছেন, বরিশাল বিভাগে ৯৮ লাখ জনসংখ্যা। এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিনের আওতায় আসছে প্রায় ৫৮ লাখ জনগণ।
সেই হিসেবে এ বিভাগে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ৫৯ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষকে। আর তৃতীয় ডোজ নিয়েছে এক লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি এ মুহূর্তে ৭০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে। এক্ষেত্রে আরও ১০ থেকে ১২ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারলে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।
আর ৮০ শতাংশ অর্জন লক্ষ্যমাত্রা করতে গেলে প্রয়োজন আরও ২২ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া। এখন আমাদের খুঁজে বের করতে হবে কারা টিকার আওতার বাহিরে রয়েছেন এবং তাদের খুঁজে বের করে টিকা দিতে হবে।
পরিচালক হুমায়ুন শাহীন বলেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বরিশালের রিমোট বা নদী বেষ্টিত এরিয়াগুলো কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। তবে সবাই যদি নিজ ইচ্ছাতে ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহী হয় তবে দ্রুতই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। যদিও এখানকার অনেক মানুষ অন্যত্র ভ্যাকসিন নিতে পারে, সে হিসেবে গোটা দেশের চূড়ান্ত হিসেবের জন্যও আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। যেমন গাজীপুরে অনেক বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছে, সেখানে দেখা যাবে বরিশালের মানুষও রয়েছে। তবে ন্যাশনাল হিসেবের থেকে আমরা তেমন একটা পিছিয়ে নেই। আট বিভাগের মধ্যে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন।
তিনি বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গোটা বরিশাল বিভাগে এক হাজার ৫০টি টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাটা কিছুটা কঠিন, তবে এরমধ্যে না হলে সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ পরবর্তীতে যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী কাজ হবে। তবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রমে বিভাগের মধ্যে কিছু জেলা-উপজেলা পিছিয়ে রয়েছে।