নিজস্ব প্রতিবেদক॥ কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বরিশালের জীবনানন্দ সড়কে অবস্থিত কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পাঠাগার ও মিলনায়তনে জড়ো হয়েছিলেন সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ ও জীবনানন্দ প্রেমিকেরা।
এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন আগাম বলে রাখার পরও বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের স্থানটি তালাবদ্ধ দেখে হতবাক সবাই।বরিশালের জেলা পরিষদের কোনও উদ্যোগই ছিল না কবির জন্মদিন উপলক্ষে। নিজ ঘরে কবির প্রতি এমন আচরণে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনার।
সুধী জনরা বলছেন, যে মিলনায়তন ও পাঠাগারের দায়িত্বে থাকার কথা স্থানীয় সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ অথবা জেলা প্রশাসক। তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদের লোকদের।
বরিশালের জাতীয় কবিতা পরিষদ ও প্রগতি লেখক সংঘের যৌথ উদ্যোগে কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবিতা, গান ও আলোচনায় অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।
এতে উপস্থিত ছিলেন কবি মোস্তাক আল মেহেদী, কবি আসমা চৌধুরী, কবি দেবাশীষ হালদার, কাজী সেলিনা, শিল্পী অধ্যাপক বিমল চক্রবর্তী, অধ্যাপক নজরুল হক নীলু, ছড়াকার সুভাস দাস নিতাই, লেখক অধ্যাপক টুনু কর্মকার ও হাসিনা বেগমসহ আরও অনেকে।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সহ-সভাপতি কবি নাজমুল হোসেন আকাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি কবি অপূর্ব গৈতম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রগতি লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদক শোভন কর্মকার।
বক্তারা অবিলম্বে বরিশালে কবি জীবনানন্দ ইনস্টিটিউট ও সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তোলার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে কবিকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অবহেলার ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।