নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশালে মহানগর ছাত্রদলের পরিচিতি সভায় দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিকেলে এই পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
এদিকে হাতাহাতির বিষয়টিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির। দেশজনপদকে বলেন, ‘বিরোধী পক্ষের লোকজন এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
সভায় যোগ দিতে এদিন দুপুর থেকেই নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কলেজ ইউনিট ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে। সভার শুরুতে মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহলে রাঢ়ীসহ মহানগর ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা বক্তব্য রাখেন।
এরই মধ্যে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনির সমর্থক ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। দুই দফা হাতাহাতির পর ছাত্রদলের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির দেশজনপদকে বলেন, ‘হাতাহাতির বিষয়টি বিচ্ছিন ঘটনা। বিরোধী পক্ষের লোকজন এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্র দলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি দেশজনপদকে বলেন, তারা আমরা একই দলের রাজনীতি করি। তাই আমরা কোন ধরনের হাতাহাতিকে সমর্থন করি না। আমি প্রোগ্রামে ছিলাম না এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি। চক্রান্ত করে আমার সমর্থকদের নাম জড়ানো হচ্ছে শিগ্রই এর সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।’
দীর্ঘ ১৮ বছর পর চলতি সপ্তাহে মহানগর ছাত্রদলের ৪৯৮ সদস্যের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা হয়েছিল।