বরিশালে একমাত্র ভরসা নিজেদের বানানো ৩০০ ফুট সাঁকো

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:১০, ফেব্রুয়ারি ১৪ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চারটি গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একমাত্র বাঁশের সাঁকো দিয়ে খাল পাড় হতে হচ্ছে। খালের উপরে সেতু বানানোর জন্য নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা এলাকাবাসীকে আশ্বাস দিলেও পরে আর দেখা মেলে না। এই সেতু যেন শুধু আশ্বাসের মধ্যেই রয়ে গেলো বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। জানা গেছে, উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরসাহেবরামপুর, চিঠিরচর, তয়কা ও টুমচর গ্রামের মানুষের যোগাযোগের জন্য হাওরভাঙা খাল পার হতে হয়। এ খালে খেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে গ্রাম থেকে বাঁশ ও গাছ জোগাড় করে স্বেচ্ছাশ্রমে প্রায় তিন শ’ ফুট দীর্ঘ এ সাঁকোটি নির্মাণ করেন। চরসাহেবরামপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) আরিফ হোসেন জানান, ওষুধ ও পরামর্শ নিতে প্রতিদিন রোগীরা ক্লিনিকে আসেন। এসব রোগী অনেক কষ্ট করে হাওরভাঙা খালের সাঁকো পার হতে হয়। চরসাহেবরামপুর গ্রামের বাসিন্দা রুবিন সরদার বলেন, সপ্তাহে রোব ও বুধবার হাটের দিনে কয়েক হাজার মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। অনেক কষ্ট করে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে সাঁকো ভেঙে যায়। বাটামারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোঃ মজিবুর রহমান সরদার জানান, চার গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য হাওরভাঙা খালে সেতু নির্মাণ জরুরি। সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান হাওরভাঙা নদীতে সেতু নির্মাণের ওয়াদা দিয়ে প্রকৌশলী পাঠিয়ে ছিলেন। এরপর আর অগ্রগতি নেই। বর্তমান সংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপু সেতু নির্মাণের জন্য ডিও লেটার দিলে তা সে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাটামারা ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন অশ্রু বলেন, ‘চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে লক্ষ্মীরহাটে হাওরভাঙা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।’ মুলাদী উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান বলেন, হাওরভাঙা নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য সংসদ সদস্যের ডিও লেটারসহ বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলী দফতরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব।