কীর্তনখোলা লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি : ৩ শ্রমিক নিখোঁজ

কামরুন নাহার | ০৪:০১, নভেম্বর ১৯ ২০১৯ মিনিট

রিপোর্ট দেশ জনপদ ॥ মুন্সীগঞ্জের মেঘনায় লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী বাল্কহেড ডুবিতে তিন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। গতকাল রোববার ভোর সোয়া ৫টার দিকে গজারিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁদের মধ্যে রয়েছে- আসলাম (২৪) ও এমাইদুল (৩৮)। অপর শ্রমিকের নাম জানা যায়নি। তবে নিজাম (৪০) নামে অপর এক শ্রমিক তীরে উঠতে সমর্থ সক্ষম হন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশীদ জানান, গত শনিবার রাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালুবাহী বাল্কহেডটি নারায়ণগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে বাল্কহেডসহ চারজনকে আটক করে। রাতে লঞ্চঘাট এলাকায় বাল্কহেডটি নোঙর করে রাখা হয়। রাতে সেটি মাঝনদীতে চলে যায়। গতকাল রোববার ভোর সোয়া ৫টার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকার সদরঘাটগামী লঞ্চ এমভি কীর্তনখোলা-২ ওই বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দিলে ঘুমন্ত চার শ্রমিকসহ ডুবে যায়। কোস্টগার্ডের স্টেশন অফিসার এম এম আসিফ জানান, এ ঘটনায় সকালে ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চটির চালক মো. শহিদুল ইসলাম এবং দুই মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইউনুচ ব্যাপারীকে আটক করা হয়েছে। চালক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কুয়াশা থাকায় খুব কাছে আসার পর বাল্কহেডটি দেখা যায়। দ্রুত লঞ্চটি ঘুরিয়ে নেওয়ার আগেই বালুর বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এ ব্যাপারে বালুর বাল্কহেডটির মালিক রহুল আমিন জানান, চাঁদপুর এলাকা থেকে বালু ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে জাহাজ রাখার জায়গা না থাকায় বাড়ির কাছে চরহোগলার কাছে মেঘনায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। তবে রাতে চলাচলের কারনে কোস্টগার্ড এটিকে আটক করে নিয়ে যায়। মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেছেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস এবং ডুবুরি দলকে তলব করা হয়েছে। বাল্কহেডটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।