নিজস্ব প্রতিবেদক।।
একজন শিক্ষক সমাজের আলোর পথপ্রদর্শক অথচ এই শিক্ষক তার শিক্ষকতার আড়ালে করে যাচ্ছেন বিভিন্নরকম অনৈতিক কর্মকান্ড।তিনি দীর্ঘ দিন ধরে তার পৈতৃক সম্পত্তি নতুল্লাবাদ, ১ নং ফিশারী রোডে একাই দখল করে বসবাস করে আসছেন। এবং অপরিকল্পিতভাবে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন ছাড়াই দোতলা বাড়ি নির্মান করেছেন।যা সিটি করপোরেশনের নিয়ম বহির্ভূত।এমনকি তার নিজ বড় ভাই আব্দুল কাদেরকে (৮২) তার ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করছেন।গত ২৫ জানুয়ারি বড় ভাই আব্দুল কাদের নিজ দলিলকৃত পৈতৃক সম্পত্তিতে সীমানা পিলার সংযুক্তি করতে গেলে শিক্ষক আব্দুর রবের তিন ছেলেমেয়ে কর্তৃক বিশৃংখলা সৃষ্টি ও ইট- রড দিয়ে মারতে উদ্যত হয়।তার প্রেক্ষিতে বড় ভাই আব্দুল কাদের স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিমানবন্দর থানার ওসি তিন ভাইকে থানায় হাজির হবার নির্দেশ দেন এবং বড় ভাইয়ের দলিলকৃত জমির সুস্ঠু বন্টনের জন্য সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান এবং পরবর্তীতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি,ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সহযোগিতায় শালিসির মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।সালিশিতে পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শিক্ষক আব্দুর রব তার প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে বড় ভাইয়ের দলিলকৃত জমির উপর নিজের অবৈধ স্থাপনা তৈরী করে রেখেছেন এবং নিজ ভাইকে তার ওয়ারিশ সম্পত্তির অংশ দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি,২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও এএসআই আবু সালেহের উপস্থিতিতে শুক্রবার ১১ তারিখ সকালে মাওলানা আব্দুর রবের বাড়িতে তালা দেবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এবং অতি দ্রুত নিজ ভাইকে তার পাওনা জায়গা বুঝিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিক্ষক আব্দুর রব এভাবেই তার আসে পাশের অনেক জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে।দীর্ঘদিন ধরেই চলছে তার এই দখল বানিজ্য। সোবাহান নামে এক নিরীহ বৃদ্ধর জমিও একই ভাবে অবৈধ দখল করে রেখেছেন, এব্যাপারে সোবাহান আব্দুর রবের অনুমোদনহীন স্থাপনার বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি।তাছাড়া বিভিন্ন জনকে নানাভাবে হুমকিধামকিসহ উত্ত্যক্তের অভিযোগ রয়েছে এই মুখোশধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।