মাধবপাশায় স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে আহ.ত করেছে সন্ত্রসীরা। থানায় অভিযোগ দায়ের
দেশ জনপদ ডেস্ক|২০:৫৪, ফেব্রুয়ারি ০৮ ২০২২ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ছাগল মারার অজুহাতে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা এলাকাধীন বড়ৈইখালী গ্রামে স্বামী ও স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে সিদ্দিক শিকদার ও তার সন্ত্রাসী বাহীনির সদস্যরা। হামলার পরে স্থাণীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা হলেন, মনিরুজ্জামন (৬০) ও তার স্ত্রী মরজিনা বেগম (৫৫)। এ ঘটনায় বরিশাল এয়াপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত সূত্রে জানগেছে, বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলার এয়ারপোর্ট থানা এলকাধীন মাধবপাশা ইউনিয়নের লাফাদী গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক শিকদার ও তার ছেলে সাজ্জাদ শিকদার, নাইম শিকদার, তার ভাইয়ের ছেলে জাহিদ শিকদার সিদ্দিক শিকাদারের ভাই সাখাওয়াত শিকদারসহ ৭/৮জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে পার্শ্ববর্তি বাড়ৈইখালী গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামানের বসত বাড়িতে যেয়ে তাকে ডেকে ঘর থেকে বের করে। এসময়ে সিদ্দিক তার ছাগল কে হত্যা করছে জানতে চায়। এ সময়ে মনিরুজ্জামন ছাগল মারার বিষয়টি অশিকার করলে সিদ্দিক ও তার লোকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মনিরুজ্জামন ও তার স্ত্রী মরজিনাকে এলাপাথারী পিটাতে থাকে। এক পর্যয়ে মনিরুজ্জামনের ডাক চিৎকারে স্থানীয় মনি বেগম ও নাইমসহ আরো অনেকে ছুটে আসে। লোক জনের আসতে দেখে হামলাকারী সিদ্দিক ও তার বাহিনী হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অহত অবস্থায় মনিরুজ্জামন ও তার স্ত্রী মরজিনা বেগমকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি বলেন, সিদ্দিক শিকদার ও তার বাড়ির লোকজন আমাদের গ্রামারের সকল ভালো কাজে বাধা দেন। তাদের নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী থাকার কারনে কেউ ভয়ে মুখ খোলে না। সম্প্রতি আমাদের বাড়ৈইখালী আদী জামে মসজিদে বার্ষরীক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সিদ্দিক ও তার বাহিনীর সদস্যরা হুমকি দিয়ে বলেন, মাহফিল হলে সেখানে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। পরে ওই ওয়াজ মাহফিল বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল বাসার বলেন, আমাকে মনিরুজ্জামান (রসুল) ফোন করে জানানয় সিদ্দিক তার লোকজন নিয়ে তার ছাগল মারার অভিযোগে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ঘর থেকে রেব করে মারছে। আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই এবং ঘটনার সত্যতা পাই। পরে সিদ্দিকের কাছে জানতে চাইলে সে বলে আমরা ছাগল মারতে দেখি নাই। কিন্তু অনুমান করছি সেই মারছে। ইউপি সদস্য আরো বলেন, এভাবে কাউকে ঘরথেকে বের করে পেটানো আইন অমন্য করা।
এ ঘটনায় আহত মরজিনা বেগম বাদি হয়ে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রায়হান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবো।