পিরোজপুর ক্রিকেট ব্যাটের রাজ শহর

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:১৫, ফেব্রুয়ারি ০৭ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ গ্রামে তৈরি বিভিন্ন সাইজের মধ্যে সবচেয়ে ছোট শূন্য সাইজের ব্যাট বিক্রি হয় ৩০-৩৫ টাকায়। আর সবচেয়ে বড় ৬ নম্বর সাইজের ব্যাট বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। ক্রিকেট খেলার অন্যতম প্রধান উপকরণ ক্রিকেট ব্যাট তৈরি হচ্ছে পিরোজপুরের নেসারাবাদ উপজেলার বিন্না গ্রামে। এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে উন্নতমানের ক্রিকেট ব্যাট তৈরি হলেও নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এ শিল্প। নেসারাবাদ উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে বেলুয়া নদীর পূর্বপাড়ে এ গ্রামের অবস্থান। একেবারে আধুনিককালের নাগরিক খেলা ক্রিকেটের ব্যাট প্রায় ৩০ বছর ধরে তৈরি হচ্ছে এখানকার ছায়াঘেরা বাড়িগুলোর ঘরোয়া কারখানায়। এ ইউনিয়নের অন্যান্য গ্রামে ব্যাটের কারখানা থাকলেও ব্যাট তৈরির শুরু আর বেশি কারখানা থাকায় বিন্না ব্যাটের গ্রাম হিসেবে পরিচিত। ব্যাট তৈরি শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক। এ অঞ্চলে প্রচুর গাছ থাকায় কাঠ সহজলভ্য। একই সঙ্গে শ্রমমূল্য কম হওয়ায় এ উপজেলায় প্রসার ঘটে ব্যাট তৈরির কারখানার। বিন্নাকে অনুসরণ করে কারখানাগুলো একে একে ছড়িয়ে পড়ে চামী, ডুবি, আদর্শ, বয়া, পঞ্চবেকী ও আউরবুনিয়া গ্রামে। নেসারাবাদের তৈরি ব্যাট মানসম্মত ও কিছুটা সস্তা হওয়ায় দেশজুড়ে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে ব্যাট কিনে নেন। বর্তমানে কারখানার সংখ্যা আর জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে এ শিল্প। ব্যাট কারিগর রাজু আহমেদ ও বিল্লাল হোসেন এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা চান। বিল্লাল  বলেন, ‘দেশে ভারত ও পাকিস্তানের ব্যাট আমদানি বন্ধ করে এ উপজেলার ব্যাটের প্রসার বাড়ালে এ শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এতে আমরাও লাভবান হতে পারব।’ বিন্না গ্রামে বিভিন্ন ধাপে তৈরি হয় এ ব্যাট। মোট সাত সাইজের ব্যাট বানানো হয়। প্রথমে কাঠ কেটে ব্যাটের মূল অংশ বা ব্লেড তৈরি করা হয়। আর ৩টি অংশ একত্রিত করে তৈরি হয় ব্যাটের হ্যান্ডেল বা হাতল। পরে ব্লেড ও হ্যান্ডেল যুক্ত করা হয়। এরপর চলে ফিনিশিংয়ের কাজ।