সরকারি রাস্তার মাটি চুরিতে বাধা দেয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার হুমকি ॥ থানায় অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:২৮, ফেব্রুয়ারি ০৬ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে সরকারী রাস্তা কেটে মাটি চুরিতে বাধা দেয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বখাটেরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক (৭৫) এয়ারর্পোট থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দয়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানগেছে, বরিশাল সদর উপজেলার সারসি গ্রামের বাসিন্দা শহিদ শিকদার ও তার ছেলে তরিক শিকদার বিভিন্ন সময়ে ওই গ্রামের সরকরি সম্পদ রাতের আধারে লুট করে। এছাড়াও নানা অপকর্মের সাথে জরিত থাকার অভিযোগ রয়েছে তরিকের বিরুদ্ধে। কিছু দিন আগে তার ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় স্থাণীয় কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালিশ বিচার করে জরিমান করেন। শহিদ ও তার ছেলে তারিক সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত এক রাস্তার দুই পাশের মাটি কেটে বাড়িতে নিয়ে যায়। এতে বাধা দেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক এর স্ত্রী বাধা দিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয় এবং এক পর্যায়ে হামলা চেষ্টা চালায়। পরে স্থাণীয়রা ও ইউ পি সদস্য মোঃ খাইরুল আলম হান্নান ছুটে এলে তাদের সামনে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় শহিদ ও তার ছেলে তারেক। এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এম মালেক বলেন, শহিদ ও তার ছেলে তারেক বিভিন্ন সময়ে সরকারী মালামাল চুরি করে। আমি বাংলাদেশের একজন নাগড়িক ও মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারনে সরকারি মালামাল হেফাজত করা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। এদের এর আগেও অনেকবার সাবধান করা হয়েছে যাতে সরকারি সম্পদ চুরি না করার জন্য। কিন্ত তারা কারো কথাই শোনে না। তারা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ খাইরুল আলম হান্নান বলেন, শহিদ ও তারেকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তারা প্রতিদিনই কোনাকোন অপরাদ করে। সম্প্রতি তারা সরকারী রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা মালেক এর স্ত্রী বাধা দিলে তাদের বিভিন্ন হুমকি দেয়। এঘটানায় এলকায় সালিশ বসানো হবে বলে তিনি জানান। এদিকে এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালক বরিশাল এয়াপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সফিকুল ইসলাম জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ঘটনার সত্যতা পাই। তবে অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে না পেয়ে তাদের মুঠোফেনে যোগাযোগ করে থানায় আসতে বলা হয়েছে।