নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) রোগীদের সেবার জন্য ৭টি বিভাগ চালু হয়েছে। এতে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীমুখী হতে হবে না রোগীদের। ফলে কমবে রোগীদের ব্যাপক ভোগান্তি।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে ওই ৭ বিভাগের উদ্বোধন করেন পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম।
নতুন চালু হওয়া বিভাগগুলো হলো কার্ডিওলজি আউটডোর, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি আউটডোর, ইউরোলজি আউটডোর, ভাস্কুলার সার্জারি আউটডোর, এন্ড্রোক্রাইনোলজি ইনডোর, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনডোর ও নিউরো সার্জারি ইনডোর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে স্বাস্থ্যসেবা কমিটির এক সভায় জানানো হয়েছিল, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সব ধরনের বিশেষায়িত চিকিৎসাব্যবস্থা চালু থাকবে।
দীর্ঘ সাত বছর পার হলেও এ বিভাগগুলো চালু হয়নি। নানা সময় সাবেক পরিচালকরা চিকিৎসক সংকটের কারণে এসব বিভাগ চালু না করতে পারার বিষয়টি গণমাধ্যমে জানায়। সবশেষ এ বছর গুরুত্বপূর্ণ ৭টি বিভাগ চালু করা হয় এই হাসপাতালে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কার্ডিওলজি আউটডোরে চিকিৎসক থাকবে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি আউটডোর বিভাগে চিকিৎসক থাকবে শনি, সোম ও বুধবার। বাকি বিভাগগুলোতে প্রতিদিনই চিকিৎসাসেবা পাওয়া যাবে।
কার্ডিওলজি আউটডোর বিভাগে নতুনদের মধ্যে দায়িত্বরত থাকবেন ডা. মুশফিকুর রহমান, ইউরোলজি আউটডোরে ডা. শাহ আলম ও ভাস্কুলার সার্জারি আউটডোরে দায়িত্বরত থাকবেন ডা. এ কে চৌধুরী।
এ ছাড়া এই হাসপাতালে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কোনো বিভাগই ছিল না, সেটিও চালু হয়েছে। পাশাপাশি কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ চালু হওয়ায় রোগীদের ছুটতে হবে না রাজধানীতে। এ ছাড়া আগে ইউরোলজি ও গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোরোলজি বিভাগে যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন হতো তাদের সার্জারি ও মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হতো।
কিন্তু এ বিভাগ দুটি আলাদাভাবে চালু হওয়া ব্যাপক প্রচেষ্টার ফল বলে মনে করছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের রোগীদের ভরসাস্থল এই হাসপাতাল। নতুন করে ৭টি বিভাগ চালু হওয়ায় রোগীরা ব্যাপক উপকৃত হবে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও স্বাস্থ্য সিনিয়র সচিবের কাছে কৃতজ্ঞ আমরা।
‘শুধু এই সাতটি বিভাগই নয়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সিটি স্ক্যান, নতুন এমআরআই মেশিন ও এনজিওগ্রাম মেশিন দ্রুত চালু করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছি।’
পাশাপাশি হাসপাতালে নিরাপত্তা দিতে ৪০ জন আনসার সদস্যকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।