বরিশালে জমি আত্মসাতের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ ভাই-বোন কারাগারে

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:১৮, ফেব্রুয়ারি ০২ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নিলাম ডিক্রি, দলিল ও পর্চা সৃষ্টি করে ৬ একর জমি আত্মসাতের মামলায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারসহ তার ৫ ভাই-বোনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে আসামিরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মহিবুল হাসান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, তার ভাই আব্দুর রশিদ হাওলাদার, আবুল হোসেন হাওলাদার, তৌহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও বোন কোহিনুর বেগম। তারা ওই উপজেলার বামনীকাঠী এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নসির খান জানান, একই এলাকার নরেন্দ্র নাথ পাল তার পৈত্রিক ওয়ারিশ থেকে পাওয়া ৬০২ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওই জমি আত্মসাৎ করতে ২০১৫ সালে একটি জাল নিলাম ডিক্রি তৈরি করেন। ২০১৬ সালে ওই জাল ডিক্রি উপস্থাপন করে জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে নরেন্দ্র পাল বাঁধা দেন। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নিলাম ডিক্রি জাল। এছাড়া শহিদুল ইসলাম নিলাম ডিক্রি ব্যবহার করে জাল দলিল ও পর্চা সৃষ্টি করে নরেন্দ্র পালের ৩ একর ৫৩ শতাংশ জমি নিজ নামে মালিকানা করিয়ে নিয়েছেন। বাকী জমি আত্মসাৎ করতে নরেন্দ্র পালের দুই ফুফু জয়া ও গীতা এবং প্রতিবেশী হেমায়েত হোসেনের নাম ব্যবহার করে একটি সাব কবলা দলিল সৃষ্টি করেন যা খুলনা জেলার সাতক্ষীরা সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল সম্পাদন দেখানো হয়। এছাড়াও জাল পর্চা সৃষ্টি করে ২০১৬ সালে ওই জমির রেকর্ড সংশোধন করার চেষ্টা করে ভূমি অফিস থেকে ব্যর্থ হয় সে। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন নরেন্দ্র পাল। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম ঘটনার জাল-জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার বিষয়টি উপস্থাপন করে আদালতে প্রতিবেদন দেন। ওই দিন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন। মামলার ধার্য তারিখে সমনপ্রাপ্ত হয়েও আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারীর নির্দেশ দেন। আজ আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।