নিজস্ব প্রতিবেদক॥ দ্রুত বিচার আইনে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। একই সাথে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বুধবার সকালে বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মো: নাহিদ হোসেন এ আদেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার ওই আদালত মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়েছিলেন। মোশাররফ হোসেন বরগুনা সদর উপজেলার ৫ নম্বর আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১২ জুন বেলা ২টার সময় ওই ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলুর সমর্থকদের ওপর হামলা করে ১৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর, একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও মজনুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। নৌকার প্রার্থী ১৩ জুন বরগুনা থানায় ১৩২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় কিছু আসামি জামিনে পেলেও চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদি অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, আমার নির্বাচনী গণসংযোগ চলাকালিন সময় মোশাররফ হোসেন একদল সন্ত্রাসী নিয়ে আমার গণসংযোগের লোকজনের ওপর হামলা করে ১৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেয়। আমার কর্মী মজনুকে কুপিয়ে জখম করে। মামলা হবার পর চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। মামলার বয়স ৭ মাস হলে তিনি কোর্টে হাজির হননি। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলাও আছে। সেই মামলায় হাজির হলেও দ্রুত বিচার আইনে মামলায় হাজির না হয়ে পলাতক থাকেন। বুধবার সকালে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন আদালতে হাজির হলে তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন আদালত।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: মজিবুর রহমান বলেন, এটি মিথ্যা মামলা। এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
