বরিশালে গৃহবধূ হত্যার আসামীদেরকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:০৩, জানুয়ারি ১৬ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশালের বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নের ভূতেরদিয়া গ্রামের ৫ সন্তানের জননী মরিয়ম বেগমের স্বাক্ষী বিহীন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দিগ্ধ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা হলো সুমন ফকির(৩৫), পিতা-আতাহার ফকির ও শয়ন চন্দ্র শীল (১৯), পিতা-নরেন চন্দ্র শীল।
রোববার বেলা ১টায় নগরীর পলিটিকনিক্যাল সড়কস্থ জেলা পুলিশ সুপার কার্যলয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহ জাহান হোসেন। এসময় তিনি বলেন, আসামীদের গ্রেফতার করে আনার পর তাদের প্রার্থমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের দেয়া তথ্য মতে ১২ই জানুয়ারী বুধবার রাতে মরিয়ম বেগ নিজ ঘড়ে একা থাকার সুবাধে এবং পূর্ব পরিচয়ের সূত্র পূর্ব পরিকল্পনা নেয়া মরিয়মের ঘড়ে প্রবেশ করে হত্যাকারীরা যৌন নির্যাতন করে। এঘটনা পরের দিন স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে মরিয়ম বেগম সকলের কাছে মুখ খুলতে পারে সেই আশংকায় তাকে ঘড় থেকে টেনে হিঁড়রে বাহিরে নিয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে। পরে মরিয়মের মরদেহ বসতঘড় থেকে ১শত গজ উত্তরে সন্ধা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ জাহান বলেন, এখন মেডিকেল ময়না তদন্তের তথ্য হাতে আসলে সম্পূর্ন নিশ্চিত হওয়া যাবে হত্যার পূর্বে সে কি ধরনের নির্যাতন হয়েছে। তবে প্রার্থমিক ধারনামতে প্রমানিত হয় যে, রাতে মরিয়মকে ধর্ষণ করা হয়েছে সে কথা দিনের বেলায় সকলে জেনে যাবে এই ভয়ে তাকে হত্যা করে রাতের আধারে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিয়ে প্রমান গোপন করতে চেয়েছিল। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (১৩ই) জানুয়ারী ভূতেরদিয়া এলাকায় সন্ধা নদীর নালার মধ্যে মরিয়ম বেগমের লাশ পড়ে আছে এই মর্মে পুলিশ মোবাইল কল পেয়ে ঘটনাস্থলে মরিয়মের সন্তান মোঃ এমরান হোসেন (১৯) ও স্থানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়। আজ বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ আটক আসামীদের আদালতে হাজির করার মাধ্যমে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড প্রর্থনা করা হবে বলে তিনি জানান।