নির্যাতিত যাত্রীদের ছবি তুলতে যাওয়া দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৩:৪৪, জানুয়ারি ০৯ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। গভির রাতে সুরভী-৯ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা যাত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে লঞ্চ স্টাফদের বিরুদ্ধে। সেই হামলার ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে যাওয়া টেলিভিশন মিডিয়ার দুই ক্যামেরা পার্সনের ওপরে এবং তাদের ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে তারা। রোববার সকালে বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করা এমভি সুরভী-৯ লঞ্চের স্টাফ কর্তৃক দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল এবং নৌ-থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে হামলার পর পরই অভিযুক্ত লঞ্চ স্টাফরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন হামলার শিকার দুই ক্যামেরা পার্সন। দুই ক্যামেরা পার্সন হলেন- ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন বরিশাল অফিসের ক্যামেরা পার্সন দেওয়ান মোহন ও চ্যানেল ২৪ এর বরিশাল অফিসের ক্যামেরা পার্সন রুহুল আমিন। ক্যামেরা পার্সন রুহুল আমিন জানান, শনিবার রাতে সুরভী-৯ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে বরিশালে আসার পথে দ্বিতীয় তলার ডেকে সাইলেন্সার থেকে ব্যাপক ধোয়া বের হয়। এজন্য আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মাঝে। তাই নিরাপত্তার জন্য ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহযোগিতা চান যাত্রীরা। কেউ কেউ লঞ্চ থেকে ফেসবুক লাইভ করেন। এজন্য রাতে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটি আটকে দেয়। গভির রাত পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ শেষে ভোর রাতের আগে লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেয়া হয়। রুহুল আমিন বলেন, ‘রাতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় যারা ফেসবুকে লাইভ দিয়েছেন এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছেন সকালে লঞ্চ থেকে নামার সময় সেইসব যাত্রীদের আটকে রেখে মারধর করে সুরভী-৯ লঞ্চের স্টাফরা। এ খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য আমি এবং আমার অপর সহকর্মী দেওয়ান মোহন লঞ্চ ঘাটে সুরভী-৯ লঞ্চে পৌঁছাই। তিনি বলেন, এসে দেখতে চাই লঞ্চের সামনে অনেক ভিড়। কি ঘটনা ঘটেছে জানতে চাওয়া মাত্রই সুরভী-৯ লঞ্চের স্টাফরা আমাকে এবং আমার সাথে থাকা অপর ক্যামেরা পার্সনকে মারধর শুরু করে। আমি তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাটি আমার সিনিয়র এবং অন্যান্য সহকর্মীদের জানাই। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাবার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এদিকে, খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার রাখি আক্তার, থানার ওসি আজিমুল করিমসহ পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ঘটনার বিস্তারিত শুনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার রাখি আক্তার বলেন, ‘সুরভী-৯ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি অবগত হয়েছি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।