গভীর রাতে আগুন আতঙ্কে সুরভী-৯ লঞ্চ আটকে দিল পুলিশ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ০১:২৮, জানুয়ারি ০৯ ২০২২ মিনিট

এস এন পলাশ।। গভীর রাতে আগুন আতঙ্কে সুরভী-৯ লঞ্চ আটকে দিল পুলিশ। মাঝ নদীতে আগুন আতঙ্কে বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের এমভি সুরভী-৯ লঞ্চ আটকে দিয়েছে নৌ-পুলিশ। যাত্রীদের কাছ থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটি আটকে দেয়া হয়। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও সবাই নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ওয়াহেদুজ্জামান। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা লঞ্চটির ইঞ্জিন রুমসহ সার্বিক বিষয়ে তল্লাশী এবং খোঁজ খবর নিচ্ছেন। সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে লঞ্চটি ছাড়া হবে না বলেও জানান তিনি। ঢাকা থেকে বরিশালের পথে আসা একযাত্রী বলেন যাত্রীরা নাকি লঞ্চটির ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের ধোয়া বের হতে দেখেছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কোন একজন যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চান। এর পর পরই পুলিশ চাঁদপুরের মোহনপুর সুরভী-৯ লঞ্চটি আটকে দেয়া হয়েছে। ওই যাত্রী বলেন, ‘প্রথমে একটু হই-হুল্লুর হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ আসার পরে সবাই শান্ত হয়েছে। লঞ্চটি বাইরে থেকে আটকে দেয়া হয়েছে। পুলিশ লঞ্চ স্টাফদের সাথে কথা বলছে। তবে লঞ্চ স্টাফ হাবিব বলেন, কোন আগুন বা ধোয়া হয়নি। লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চলছিল। এ কারণে কোন এক যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে অভিযোগ করেছে। এ কারণে শত শত যাত্রী মাঝ রাতে ভোগান্তিতে পড়ছে। নৌ-পুলিশের মোহনপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘লঞ্চটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। যাত্রী এবং তাদের মালামালের নিরাপত্তা আমরাই দিচ্ছি। যাত্রীরা জানিয়েছে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে তারা আগুন জ্বলতে দেখেছে এবং আগুন থেকে ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এজন্য যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ‘লঞ্চটি আপাতত মোহনপুর ঘাটে বার্দিং করা আছে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে শুরু করে সব জায়গায় খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তাদের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চ ঘাটেই বার্দিং করা থাকবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অসংখ্য যাত্রী হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকেই নৌ পথে লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।