করেনা প্রতিরোধে নগরীতে যুবকদের উদ্দীপনামূলক ভূমিকা

কামরুন নাহার | ২৩:৩৬, মার্চ ২৪ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ যুবসমাজই দেশকে করোনামুক্ত করার ক্ষেত্রে উদ্দীপনামূলক ভূমিকা নিতে পারে। একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল যুবসমাজের ভাবমূর্তির ওপর সমগ্র জাতির নীতি-নৈতিকতার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। তাঁদের অভিজ্ঞতা, সততা, দক্ষতা এবং ন্যায়নিষ্ঠার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যুবসমাজের দ্বারা জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজ, পরিবার থেকে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই করোনা প্রতিরোধে নগরীর যুবকরাই এখন নিজ নিজ এলাকার প্রান হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছুটে চলছে মানুষের দ্বারে দ্বারে। করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে এলাকায় শুরু করেছে হাত ধোঁয়া এবং শরীর জীবানুমুক্ত করার কার্যক্রম। বিভিন্ন এলাকার যুব সমাজের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ধরেই একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। খবরের কাগজের মধ্যে দিয়ে লিফলেট বিলি করা হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কী কী করণীয় এবং অযথা আতঙ্কিত না হওয়া এই বার্তা দেওয়া হয়। বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যাতে বাড়ির সকলেই ভালো করে হাত পা পরিষ্কার রাখে। হাঁচি এলে হয় টিস্যু ব্যবহার করতে হবে নয়তো কনুই দিয়ে ঢাকতে হবে। বাইরে থেকে যেমন অন্য জায়গা থেকে ঘুরে এলে কিংবা কাজ থেকে ফিরে এলে অবশ্যই বিশ সেকেন্ড ধরে হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুতে হবে। সাথে এটাও বলা হয় সাধারণ সর্দি, জ্বর, কাশি মানেই করোনা আক্রান্ত নয়। গুজবে কান না দেবার অনুরোধ করা হয়। তবে এলাকার নামধারী কিছু রাজনৈতিক নেতারা এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। তারা কেবল ব্যস্ত সাংগঠনিক ও নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে লোক দেখানো কার্যক্রম নিয়ে। তারা খেয়াল রাখেনা এলাকার জনগনের প্রতি, জনগনের সুরক্ষার প্রতি। জনগনের সুবিধার্থে কারো দ্বারে নেই তাদের বিচরন কারন নিজের পকেটের টাকা কেন ব্যয় করবে। লাভ তো নেই কোন। এলাকাবাসীর ভেতরে ভেতরে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। তাই নিজেদের তাগিদেই অনেকেই বেড়িয়ে পরেছে সচেতনতামূলক এ কাজে। এদিকে করোনা প্রতিরোধে গতকাল বরিশাল নগরীর আমিরকুটির এলাকায় যুবসংঘের উদ্যোগে সকাল ১০টা থেকে হাত ধোঁয়া ও জাবানুনাশ স্প্রে’র ব্যবস্থা করা হয়। এলাকাবাসীকে সচেতন করতে ২/৩ জনের আলাদা গ্র“প করে লিফলেট বিতরন করে এবং এলাকায় প্রচারনা চালায়। গতকাল রাতে ঐ যুবকরা এলাকায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাইকিং করলে তাদের শুভেচ্ছা জানান অনেকে। বলেন, যে কাজটি জনপ্রতিনিধিদের করা উচিত ছিলো, সেটি যুবকরা করেছে। প্রচারনায় অংশ নেয়া যুবকরা কোন ধরনের শো-ডাউন করেনি। ২/৩জনের গ্র“পে সবাই মাস্ক পরে মেনে চলে নির্ধারিত দূরত্ব ও নিয়ম। অংশগ্রহনকারী যুবকরা হলো আসিফ, সান, নোমান, অনিম, মুন্না, অশ্র“, সজীব ও কালুসহ আরো অনেকে। পাশাপাশি নগরীর নাজির মহল্লায় দেখা গেছে কয়েক যুবক নিজ এলাকায় শুরু করেছে করোনা প্রতিরোধ প্রচারনা। এছাড়া কলেজ এভিনিউ, সদররোড, লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় যুবকের উদ্যোগে চলছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন ও সচেতনামূলক কার্যক্রম। ব্রাঞ্চ রোড এলাকার ফাতেমাতুজ জোহরা মিতু ৫০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন করেন। সরকারের পাশাপাশি যুব সমাজের এ ধরনের কার্যক্রম দেশকে করোনামুক্ত করতে বড় একটি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।