শেবাচিমের চি‌কিৎসক‌-নার্সদের ছু‌টি বা‌তিল

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:০৪, ডিসেম্বর ২৪ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন আমাদের বার্ন ইউনিট বন্ধ রয়েছে, তবে সার্জারি ওয়ার্ডে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স এবং স্টাফদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনে দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জরুরি চিকিৎসায় হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন আমাদের বার্ন ইউনিট বন্ধ রয়েছে, তবে সার্জারি ওয়ার্ডে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স এবং স্টাফদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। হাসপাতালের পুরুষ, মহিলা ও শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে আর্তনাদ আর আহাজারি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগুনে বেশিরভাগ রোগীই ৫০ ভাগ দগ্ধ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ ভাগ দগ্ধ তিন শিশুসহ ৫ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় নেয়ার পথে এক শিশু মারা গেছে। ভোর ৫টা থে‌কে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লঞ্চে আগুনে দগ্ধ রোগীরা আসতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৭২ রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ৩ ও ৪ নম্বর ইউনিটে ৪০ জন, মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ২০ জন এবং শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে ৭ জন। এ ছাড়া অর্থোপেডিকস ওয়ার্ডে ৫ জন ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ জানান, বর্তমানে ৭২ জন রোগী ভর্তি। তাদের মধ্যে ৫০ জনের অবস্থা গুরুতর। সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফেরদাউস আহমেদ বলেন, ‘লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত যারা দগ্ধ হয়েছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই ৫০ শতাংশের বেশি দগ্ধ। এর মধ্যে গুরুতর দুই রোগীকে ঢাকা বার্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বেশ কয়েকজন রোগী। শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে ৭টি শিশু দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। রেফার শিশু রোগী হলো তাইফা, তামিম ও মাহিনুর। ওদের বয়স ৫ থেকে ৭ বছর। তবে ঢাকায় নেয়ার পথে তাইফার মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন তার মামা ব‌নি আ‌মিন। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জরুরি বিভাগে সকল রোগীকে ফ্রি টিকিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, স্যালাইন, অক্সিজেন, বালিশ, বিছানা, কম্বল সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্লাড ডোনেশন ক্লাবগুলোকে রক্ত সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন আমাদের বার্ন ইউনিট বন্ধ রয়েছে, তবে সার্জারি ওয়ার্ডে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।