যুবলীগ নেতার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন, গ্রেপ্তার-১

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৫৩, ডিসেম্বর ২৩ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিজানুর রহমান বিপ্লব (৪০) নামের এক যুবলীগ নেতার হাতের কব্জির অনেকাংশ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে উপজেলার ২ নম্বর ধানীসাফা ইউনিয়নের আলগী বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম বিপ্লবকে রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ রাতেই ফরিদ নামের একজনকে আটক করেছেন। জখম বিপ্লব বেপারী ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদারের সমর্থক। অভিযোগ উঠেছে, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সমর্থকরা বিপ্লবকে কুপিয়ে জখম করে বাঁ হাতের কব্জির অনেকাংশ কেটে দিয়েছেন এবং ডান হাতের একটি আঙ্গুল প্রায় বিচ্ছিন্ন। এছাড়া মাথা, পিঠ ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের একাধিক জখম রয়েছে। বিপ্লব বেপারী উপজেলার সাফা গ্রামের নূর উদ্দিন বেপারীর ছেলে। তিনি ধানীসাফা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। বিপ্লবের বড় ভাই বাচ্চু বেপারী ধানীসাফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২ নম্বর ধানীসাফা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাচ্চু বেপারী বলেন, বুধবার রাতে বিপ্লব ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদারের নৌকা মার্কার স্টীকার নিয়ে আলগী বাজারে দলীয় কার্যালয়ে যান। রাত সাড়ে নয়টার দিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সমর্থক আলগী গ্রামের ফরিদ আকনের নেতৃত্বে একদল লোক বিপ্লব বেপারীর ওপর হামলা করে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ফেলে রাখে। স্থানীয় লোকজন আতংকে তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়নি। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদার জখম বিপ্লবের সাথে বরিশালে চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মুঠোফোনে বলেন, বিপ্লবের হাতের কব্জি জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। কব্জি ও একটি আঙ্গুল ফেলে দিতে হবে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তার লোকজন বিপ্লবকে কুপিয়ে জখম করেছেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তাঁর ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উল্টো সন্ধ্যার পর করিম আকন স্কুল এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময় তার কিছু লোকজনকে নৌকা প্রার্থীর লোকজন মারধর করে এবং তিনটি মটরসাইকেল ভাংচুর করে। মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর আহমেদ বলেন, বুধবার রাত ১০টার দিকে বিপ্লব বেপারীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর মাথা, পিঠ ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। তাঁর বাঁ হাতের কব্জি অনেকাংশে কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, আগামী ৫ জানুয়ারি মঠবাড়িয়া উপজেলার ২ নম্বর ধানীসাফাসহ চারটি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।