বরিশাল বিভাগে দেড় সহস্রাধিক হোম কোয়ারেন্টাইনে

কামরুন নাহার | ০০:৩২, মার্চ ২৩ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল বিভাগে এক হাজার ৫১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে। যা আগের ২৪ ঘণ্টার থেকে প্রায় দ্বিগুণ। আগের ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে ২৮১ জনকে আনা হয়েছিল। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য জানিয়েছেন। বিভাগের ছয় জেলার হিসাব অনুযায়ী, বরিশালে নতুন ১৩৫ জনসহ ৩৫৬ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ১০৩ জনসহ ২৮২ জন, ভোলায় নতুন ৪৭ জনসহ ২৪৮ জন, পিরোজপুরে নতুন ৬৫ জনসহ ২৪৯ জন, বরগুনায় নতুন ৩৪ জনসহ ২২০ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ২৪ জনসহ ১৪৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন তিনজনসহ ১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বাসুদেব কুমার জানায়, কোয়ারেন্টিনে থাকা ১ হাজার ৫ শ ১০ জনের অধিকাংশই প্রবাসী। এছাড়া বরগুনা জেলায় একজন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দু’জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত কারো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে বিভাগে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন ১৫০ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টা শেষ করেছেন ৭৫ জন। কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পাওয়াদের মধ্যে বরিশালে ৩৩ জন, পটুয়াখালীতে ৩৪ জন, পিরোজপুরে ১৫ জন, বরগুনায় ৪০ জন ও ঝালকাঠিতে ২৮ জন রয়েছে। স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী। পাশাপাশি এদের সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কাজে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহায়তা করছে। আমরা ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে আমাদের সার্সিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আর সেবক-সেবিকা, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তায় পারসোনাল প্রটেকশন সরঞ্জাম এরইমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্টদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তিনি জানান, সর্দি-কাশি ও জ্বরের রোগীকে দেখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা হাসপাতালগুলোতে করা হয়েছে। টিকিট কাউন্টারে গেলেই এ বিষয়ে তথ্য জানা যাবে।