বরিশালে কঠোর অবস্থানে ইজিবাইক চালক-শ্রমিক

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:০১, ডিসেম্বর ২০ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থন নিয়েছেন বরিশালের ব্যাটারী চালিত থ্রি-হুইলার মালিক শ্রমিক সংগঠন। সমপ্রতি ব্যাটারী চালিত থ্রী-হুইলার অবৈধ ঘোষনা করে বন্ধের একটি সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চলতি মাসের শেষের দিকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা রয়েছে। তবে এর আগেই বরিশালে ডা. মনীষা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সরকারের এ সিদ্ধানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে মালিক শ্রমিক ও চালকরা। গতকাল প্রায় ১০হাজার মালিক, চালক ও শ্রমিন নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয় অশ্নিনী কুমার টাউনহল চত্বরে। বিআরটিএ প্রস্তাবিত থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২১ দ্রুত চূড়ান্ত করাসহ ৪ দফা দাবিতে বরিশালে সমাবেশ করেছেন ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ইজিবাইক চালকরা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে ব্যাটারি রিক্সা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ এই কর্মসূচির অয়োজন করে। এতে হাজারের বেশি ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ইজিবাইক চালক ও শ্রমিক অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন সভাপতিত্ব করেন। এ সময় নগরীর সদররোড, গ্রিজ্জামহল্লা সড়ক ও কাটপট্টি সড়কসহ কয়েকটি সড়কে সম্পূর্ণভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংগঠনের উপদেষ্টা ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় যানবহনের সঙ্গে দেশের ৫০ লাখ পরিবার তথা আড়াই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। এর সাথে প্রায় ৪২টি উপখাত রয়েছে। কোনো মতেই এসব যান চলাচল বন্ধ করা যাবে না। দ্রুত নিবন্ধনসহ রুট পারমিট এবং লাইসেন্স প্রদান করতে হবে এসব যানের। তিন চাকার ভিন্ন মডেলের যানবাহন আমদানির স্বার্থে ইজিবাইক বন্ধের চক্রান্ত আমরা সফল করতে দেব না। তিনি আরো বলেন, ব্যাটারি চালিত গাড়ি একটি পরিবেশ বান্ধব যানবাহন। বর্হিবিশ্বের প্রাই দেশই এখন ব্যাটারী চালিত যানবাহনের উপরে যোর দিচ্ছেন। সেখানে আমাদের সরকার কেন ব্যাটারী চালিত যানবাহন আধুনিকায়ন না করে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা আমার বোধগাম্য নয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার, মো. রনি, মনির, শ্রমিক নেতা দুলাল মল্লিক, মো. জসিম প্রমুখ। বক্তরা বলেন, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক বন্ধ করার আগে সব গাড়ির মূল্য বাবদ দেড় লাখ টাকা দিতে হবে। একই সঙ্গে সব চালক ও এ পেশায় কাজ করা শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের নিশ্চিত করার আগে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হলে সারাদেশে এই আন্দোলন গণ আন্দোলনে পরিণত করা হবে। সরকার এখন স্বার্থপর মহলের স্বার্থ রক্ষায় আদালতকে ব্যবহার করে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক রিক্সা বন্ধ করার মাধ্যমে গরিবের ঘড়ের বাজার কেড়ে নেওয়ার মিশনে নেমেছে। সরকারসহ উর্ধ্বতন মহল এই চক্রান্ত থেকে সরে না আসলে এবং ইজিবাইক বন্ধ করা হলে বেকার হয়ে যাওয়া শ্রমিক সদস্যরা সারা দেশের সড়ক ও নৌপথ বন্ধ করে দেবে। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সমবেত হয় শ্রমিকরা। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে সংগ্রাম পরিষদের আহবানে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হলে সকাল থেকে বরিশাল নগরীর ৩০ টি ওয়ার্ডের ব্যাটারি চালিত গাড়িসহ ইজিবাইক, রিক্স-ভ্যান চলাচল বন্ধ করে দেন চালকরা।’