করোনা ঝুঁকিতে বরিশালের ১৪শ’ কারাবন্দি

কামরুন নাহার | ০০:১০, মার্চ ২৩ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারন করছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ২০জনের বেশি মানুষ আর মারা গেছে দুই রোগী। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশে কাজ করছে প্রশাসন। সারাদেশের মতো করোনা ভাইরাস সর্তকতায় রয়েছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার তবে করোনা ভাইরাস সনাক্তের কোন মেশিন না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন এখানের বন্ধি কয়েদীরা। সূত্র জানায়, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে মোট ১ হাজার ৩ শ ৯৭ জন কারাবন্দি রয়েছে। এসব কারাবন্দিরের জন্য বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ডিপ্লোমা নার্স, ফার্মাসিষ্ট দিয়ে দেখভাল করছেন, এতে কোন কারাবন্দিদের শরীরে এখন পর্যন্ত করোনার আক্রান্তের খবর পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। তবে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কারাগারে একটি সূত্র জানিয়েছেন, বাহির থেকে নতুন কোন কারাবন্দি ভেতরে প্রবেশ করলে তাকে পরীক্ষা করা এবং ভিতরের কারাবন্দীদের পরীক্ষা করার কোন মেশিন না থাকায় মারাত্বক ঝুঁকিতে রয়েছে কারাগের বন্দি এবং স্টাফরা। সুশীল সমাজ বলছে, করোনা প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো লোক সমাগম স্থল এড়িয়ে চলা। সাধারণ কারাগারে একই জায়গায় অনেক বন্দি থাকেন। দেশে প্রায় সব কারাগারেই ধারণক্ষমতার বেশি বন্দি রয়েছেন। তাই বন্দিদের মাধ্যমে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায়, সেদিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। এব্যাপারে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নূর মোহাম্মাদ মৃধা জানায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ইতিমধ্যে আমরা নানাভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। কারা অভ্যন্তরে একটি ভবনের দুটি ফ্লোর রেডি রাখা হয়েছে, প্রয়োজন হলে আসামীদের সরিয়ে পুরো একটি ভবন রেডি করার পরিকল্পনা আছে আমাদের। এছাড়া আমাদের স্টাফদের জন্যও দুটি ভবন প্রস্তুত করা হচ্ছে, সেখানে ৬০ থেকে ৭০ জনকে আইসোলেশন দেয়া যাবে। তিনি আরও জানায়, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্ক্যানার মেশিনটি চেয়েছি আশা করছি দ্রুত আমরা এটি পেয়ে যাবো। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের ৬৮টি কারাগার ঘিরে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রায় ৯০ হাজার কারাবন্দি কারো শরীরে করোনার কোন বাহ্যিক লক্ষণ রয়েছে কিনা তা সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি করতে চিঠি পাঠানো হয়েছে কারা চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। নতুন সব কারাবন্দিকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ ও ১৪ দিন পর্যবেক্ষণের পর তাদের অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, করোনার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে একাধিক চিঠি দেশের সব কারাগারে পাঠানো হয়েছে।