কলাপাড়ায় আ’লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, প্রার্থীসহ আহত ৬

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৪৪, ডিসেম্বর ১২ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের বেতপুর গ্রামে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্য সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত নয়টার দিকে এ সংঘর্ষে বিএনপি সমর্থিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীসহ ৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত বিএনপি সমর্থীত ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান, রনি হাওলাদার ও হারুন মীরকে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অপর আহত হাসান গাজী, হাসিবুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে আহত প্রার্থী মজিবর রহমানকে আমতলী উপজেলা হাসপাতাল থেকে বরিশাল রেফার করা হয়েছে। আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধার পর চাকামইয়া ইউনিয়নের বেতমোর স্কুল মাঠে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির কেরামতের উঠান বৈঠক চলছিলো। বৈঠক শেষে প্রার্থী তার কর্মী বাহিনী নিয়ে নির্বাচনী অফিসে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলো। রাত নয়টার দিকে ওই অফিসের সামনের সড়ক দিয়ে প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে যাচ্ছিলো বিএনপি সমর্থিত ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মজিবর রহমান। এসময় কে বা কারা আওয়ামীলীগ অফিসের দিকে ইট ছুড়ে মারে। এ সময় নৌকার সমর্থকরা বের হয় ওই মোটরসাইকেল আটকে দেয় এবং ইট মারার কারন জানতে চায়। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইটের আঘাতে বাম চোখ ও কপালে জখম হয় প্রার্থী মজিবর রহমান। এছাড়া তার ভাইপো রনি ফকিরকে কুপিয়ে দুই পায়ের হাটু ও হাত মারাত্মক জখম করে। পাল্টা ধারালো অস্ত্রের হামলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থীর ছেলে হাসিবুল ইসলাম ও নৌকার কর্মী হারুন মীর ও গোলাম মোস্তফা জখম হয়। কলাপাড়া হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক অনুপ সরকার জানান, রনি ও হারুনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদের রেফার করা হয়েছে। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর ভাইয়ের ছেলে রনি হাওলাদারকে আশংকা জনক অবস্থায় বরিশাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে বলে রনি পিতা মোতালেব হাওলাদার জানিয়েছেন। কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুর রহমান জানান, তারা ঘটনা শুনেই হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তারা ঘটনা জেনে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে এঘটনায় কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দাখিল করেনি।