ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পটুয়াখালীতে আমন ধানের ক্ষতি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৩৩, ডিসেম্বর ০৬ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পটুয়াখালীতে তিন দিনে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আজ ভোর রাত থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পটুয়াখালীর উপকূল জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে খেটে খাওয়া নিম্ম আয়ের মানুষসহ কর্মজীবী মানুষ। কোথাও কোথাও বৃস্টি আর হালকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে তরমুজ ও আমন ধানের ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে বৃষ্টি যা হয়েছে তাতে আমন ধানের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। গত শনিবার থেকে টানা তিন দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ দূর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিলেও এর প্রভাবে গভীর বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগরে মাছ ধরারত ট্রলার গুলোকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে থাকলেও ঘুর্ণিঝড় দূর্বল হওয়ায় ট্রলারগুলো নিয়ে আবারও সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা। ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদ ধেয়ে আসার খবরে গোটা পটুয়াখালীর উপকূলের সাধারন মানুষ আতংকিত থাকলেও লঘুচাপে রূপ নেয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারন মানুষের মাঝে। তবে টানা তিন দিনের বৃস্টিতে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ও কাজ কর্ম ব্যহত হয়েছে। লোকসানে পরেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টির পানি জমে আর জোয়ারের পানি ঢুকে চরাঞ্চলের তরমুজ এবং জেলার মুগ ডাল আবাদীদের ক্ষতি হবে বলেও জানান কৃষকরা। পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম মহিউদ্দিন জানান, জেলায় এ বছর ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকী ৬৫ শতাংশ ধানের মধ্যে ৪০ শতাংশ আমনের ধান শক্ত ক্ষির আর ২৫ শতাংশ নরম ক্ষির রয়েছে। যদি আরও এক দিন বৃস্টি অব্যাহত থাকে তাহলে ধানের ক্ষতি হবে। আর যদি বৃস্টির সাথে বাতাস থাকে তাহলে আমনের গাছ মাটিতে শুয়ে পরলে ক্ষতি হতে পারে। তবে এ পর্যন্ত যে বৃস্টি হয়েছে তাতে আমনের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তার পরও কোন জমিতে পানি জমে গেলে রবি ফসলের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া খেসারি, তরমুজ এবং শীত কালিন শাক সবজির কিছুটা ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। আমরা কৃষি কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছি যে কোথাও জমিতে পানি যেন না জমে সে ব্যাপারে কৃষকদের মরামর্শ বা সতর্ক করতে হবে। পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো মাসুদ রানা অন্তর জানান, সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত পটুয়াখালীতে ৪৯ মিলিমিটার ও খেপুপাড়ায় ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালীতে সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রেকর্ড পরিমান ২৯.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।