শিশু হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:১২, নভেম্বর ২৯ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামে শিশু হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসি ও একজনকে রেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা সোমবার সকালে এই রায় প্রদান করেন। মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো: সিদ্দিকুর রহমান সিং এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজৈর পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে রাজিব হাওলাদার (৪১), কোদালিয়া বাজিতপুরের মুহিত গাছীর ছেলে রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী (৩২) ও পিরোজপুর জেলার ভৈরমপুরের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা (৩১)। বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া এ মামলায় বাগেরহাট জেলার সেলিম হাওলাদারের (৪১) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সেনদিয়া জামে মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় টুকু সরদারের মেয়ে আদুরী আক্তার (৫)। নিহতের বাবা টুকু সরদার ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পরে ওই মসজিদের ইমাম শফিকুল ইসলামকে রাজৈর থানা পুলিশ গ্রেফতার করলে তিনি পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন এবং তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মসজিদের পাশ থেকে আদুরী আক্তারের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে মামলার চার আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করলে তিন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে। মামলার রায়ের দিন এক আসামি রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহতের বাবা টুকু সরদার বলেন, আমার মেয়ে হত্যার রায়ে আমি খুশি হয়েছি। আমার সরকারের কাছে একটাই দাবি এই ফাঁসির রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর মো: সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আদুরী নামে এক শিশুকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে লাশ পুতে রাখা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করে এবং তার দেয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করা হয়।