অপহরণের শিকার জেলেদেরই ডাকাত সন্দেহে মারধর

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৩১, নভেম্বর ২৪ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥  সাগরে মাছধরা ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় মুক্তিপণের দাবিতে তুলে নেওয়া ৭ জেলেকে উল্টো ডাকাত সন্দেহে স্থানীয় জেলেরা বেদম মারধর করেছে। বুধবার দুপুরে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কুয়াকাটা নৌপুলিশ নামবিহীন একটি মাছধরা ট্রলারসহ ৭ জেলেকে উদ্ধার করে। এরপর এদের চিকিৎসার জন্য কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসে। বেদম মারধরে গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে কুয়াকাটা নৌপুলিশ। কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কামরুজ্জামান জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাগরে বেশ কয়েকটি মাছধরা ট্রলারের জেলেরা একত্রিত হয়ে ডাকাত সন্দেহে একটি ট্রলারকে ঘিরে রাখে। খবর পেয়ে নৌপুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ওই ট্রলারে থাকা সাতজনকে ব্যাপক মারধর করা হয়। উদ্ধারকৃত জেলেদের ৭ জনই পৃথক সাতটি ট্রলারের জেলে। শনিবার দিনের বিভিন্ন সময় সাগরে মাছ শিকারের সময় সাতটি ট্রলারের একজন করে জেলে মুক্তিপণের দাবিতে ডাকাতরা তুলে নেয়। এরপর একাধিক বিকাশ নাম্বারে প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জনপ্রতি দুই লাখ টাকা করে মুক্তিপণ আদায় করে। এরপর তাদের ওই নামবিহীন ট্রলারে তুলে দিয়ে অন্য একটি মাছধরা ট্রলার নিয়ে সটকে পড়ে ডাকাতরা। উদ্ধার হওয়া জেলেরা নৌপুলিশের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন। উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন- নেছার খান (৪০), কামাল আকন (৩৫), জামাল (৩২), জাকির (৩৮), লোকমান খান (৬২), হেলাল ফকির (২১) ও জাহাঙ্গীর (৪৫)। এদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এবং বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিব মণ্ডল জানান, স্থানীয় জেলেরা ডাকাত সন্দেহে হামলা মারধর করলেও এসব জেলেরাই ভিকটিম। ইতোমধ্যে ওই সব জেলেদের দেওয়া তথ্যের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। চূড়ান্তভাবে তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান নৌপুলিশের এসআই।