আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ন এলপিজি গ্যাসের ফিলিং ষ্টেশন

কামরুন নাহার | ০০:২৬, মার্চ ২০ ২০২০ মিনিট

নিজেস্ব প্রতিবেদক ॥ ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় এলপিজি গ্যাসের ফিলিং স্টেশন তৈরী করছে নগরীর সাগরদীতে ডোস্ট পাম্প মালিক শাওন। বিষ্ফোরক পরিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের নাকের ডগায় চলছে এমন ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম। সূত্রমতে, সাগরদী আবাসিক এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মেসার্স ডোষ্ট ফিলিং ষ্টেশনে পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন বিক্রি করে আসছে। এর মধ্যে গত কয়েক দিন যাবত ওই ফিলিং ষ্টেশনে এলপিজি গ্যাস বিক্রির জন্য বিশাল আকারের একটি সিলিন্ডার ভাসমান অবস্থান রেখে ইটের দেয়াল দিয়ে গ্যাসের ফিলিং ষ্টেশন হিসাবে ব্যবহার করার কাজ চলমান রয়েছে। নিয়ম অনুসারে একটি গ্যাসের ফিলিং স্টেশন করতে হলে ১৫/২০ গজের মধ্যে কোন বাড়ি-ঘর, অফিস- আদালত কিংবা জনবহুল্য অবস্থায় থাকতে পারবে না। কিন্তু ডোষ্ট ফিলিং ষ্টেশনের মালিক শাওন খান আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে স্বইচ্ছায় আবাসিক এলাকায় এলপিজি গ্যাস মজুদ রাখার বিশাল আকারে সিলিন্ডার বসিয়েছে। যাহা দৃশ্যমান। ফলে সগরদী এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আঃ কুদ্দুস, জব্বারসহ অনেকেই জানায়, এত বড় গ্যাসের সিলিন্ডার যদি কোন কারন বসত বিষ্ফোরন ঘটে তাহলে পুলো এলাকার মানুষ পুড়ে মারা যাবে। তাছাড়া ফিলিং ষ্টেশনের বিপরীত পাশেই রয়েছে একটি মাদ্রাসা যেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এধরনের বিশাল আকারের সিলিন্ডার স্থাপনের ফলে পুরো এলাকাই এখন অতিমাত্রায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এদিকে ফিলিং ষ্টেশন করতে হলে নিয়ম মধ্যে ফায়ার কোড বাস্তবায়ন করারও দরকার রয়েছে। কিন্তু ফায়ার কোড বাস্তাবায়নে দেখা গেছে শুধুমাত্র ২/১ টি সিলিন্ডার এবং নামমাত্র কিছু কাগজপত্র। সরেজমিনে ফায়ার কোড বাস্তবায়নের তেমন কোন যন্ত্রপাতি সাধারণের চোখে পড়ে না। এ ব্যাপারে ডোষ্ট ফিলিং ষ্টেশনের মালিক মোঃ শাওন খান বলেন, নিয়ম মেনেই এলপিজি গ্যাসের ফিলিং ষ্টেশনের কাজ করতেছি। সদ্য নির্মানের জন্য যে কাগজ পত্র দরকার তা জোগাড় করেছি। বাকী কাগজপত্র স্টেশন চালু করার সময় প্রয়োজন হবে তখন বিষ্ফোরক দপ্তর থেকে আনা হবে। এদিকে বরিশাল বিষ্ফোরক অধিদপ্তরের সিনিয়র পরিদর্শক মোঃ ফরিদ হোসেন দেশ জনপদকে বলেন, ডোষ্ট ফিলিং ষ্টেশনে এলপিজি গ্যাসের সংযুক্তর বিষয়টি আমি জানিনা। কারন এলপিজি গ্যাসের বিষয়টি ঢাকা অফিস নিয়ন্ত্রণ করে। বিষ্ফোরক দপ্তর থেকে অনুমতি না নিয়ে কিভাবে এতবড় সিলিন্ডার স্থাপন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার স্থাপন করতে অবশ্যই বিষ্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে। এরপরও যদি কোন ব্যক্তি আবাসিক এলাকায় গ্যাসের ফিলিং স্টেশন করে এবং পত্র পত্রিকায় নিউজ হয় কিংবা কেউ অভিযোগ দায়ের করে তাহলে ঢাকা অফিসের অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ঢাকা অফিসের মঞ্জুরুল হাফিজ নামের এক কর্মকর্তা ০১৭১০৮...১৭ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে সাগরদী এলাকার বাসিন্দারা এলপিজি গ্যাস ফিলিং ষ্টেশনের কাজ আবাসিক এলাকায় বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।