তজুমদ্দিনে ১৯ বছর পর সোনাপুর ইউপিতে নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর পর ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ২নং সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষনা করেন। ইউনিয়নটিতে সীমানা বিরোধের মামলা থাকায় দীর্ঘ ১৯ বছর নির্বাচন বন্ধ ছিলো।
তফসিল ঘোষানর পর ইউনিয়নটি সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভোটের আমেজ ফিরে আসে। ইউনিয়নের সর্বত্র এখন চলছে নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষণ। অপরদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা যুক্ত হচ্ছেন ভোটের প্রচারণায়। ঘোষিত তফসিল মোতাবেক মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর, যাচাই বাচাই ২৯ নভেম্বর, আপিল দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ৬ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ ২৩ ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারপর থেকে দীর্ঘ ১৯ বছরেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ৩ জন নারী সদস্যের মধ্যে ২জন, ৯জন পুরুষ সদস্যের মধ্যে ১জন মারা যায় এবং ২০১৯ সালের ১১ মার্চ চেয়ারম্যান হাফেজ হাসান মাসুদ বাবুল মারা যায়।
এরপর থেকে একজন প্যানেল চেয়ারম্যান দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করলেও যে সব জনপ্রতিনিধিরা জীবিত আছেন তারা অনেকেই সোনাপুর ইউনিয়নে বসবাস করেন না। অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন চাঁদপুর ও শম্ভুপুরে বসবাস করেন। সীমানা বিরোধের জটিলতার মামলা থাকায় দীর্ঘদিন ভোট হয়নি।
জানতে চাইলে ভোটার রুবেল মোল্লা, আঃ আজিজ স্বর্ণকার, ইসমাইলসহ অনেকে জানান, সীমানা বিরোধের মামলা থাকায় দীর্ঘ ১৯ বছর সোনাপুর ইউনিয়নের ভোট না হওয়ায় সাধারণ মানুষ নাগরিক অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর সাধারণ ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করলে তাদের হারিয়ে যাওয়া অধিকার ফিরে পাবে বলে আশা করি।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, ইউনিয়নটির মোট আয়তন ২০ হাজার ৯৭বর্গ কিলোমিটার। মোট ভোটার ১৭ হাজার ১শত ৬ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৫০ ও নারী ভোটার ৮ হাজার ৫৬।
এদিকে গতকাল (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের এক সভা দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে ৩জন প্রার্থীর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মিশু হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইশতিয়াক হাসান ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহ মোঃ শাহাবুদ্দিনের নাম নির্বাচন করে ভোলা জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের নিকট প্রেরণ করবেন বলে জানান উপজেলা আ’লীগ একটি দলীয় সুত্র।