বরিশালে দিবস পালনের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:৫৫, নভেম্বর ০৭ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপনের জন্য বরিশাল বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তারা সমবায় সমিতি থেকে দশ হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিম্মে দুই হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, ‘সমিতির সদস্যরা প্রতি মাসে লোকসান গুনছেন। করোনা মহামারীতে সঞ্চয় ও ঋন আদায় বন্ধ। এছাড়া অনেক ঋন গ্রহিতা ঋন নিয়ে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে। এরপরও নিবন্ধন রক্ষার জন্য সমবায় কর্মকর্তাদের দাবি করা চাঁদা দিতে হয়েছে। জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপনের নামে বিভিন্ন ক্যাটাগরির (শ্রেণির) সব সমিতির সদস্যসহ সমবায়ীরা বেপরোয়া চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন। সমিতির সদস্যদের অভিযোগ, সমিতি প্রতি দশ হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিম্নে দুই হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। ওই হিসাবে সমবায় দিবসে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজি হয়েছে। সমবায়ীরা অভিযোগ করেন, চাঁদার টাকা জায়েজ করতে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে সমবায় কর্মকর্তারা। উপজেলা, জেলা সমবায় কার্যালয় সূত্র জানায়, বরিশালে বিভিন্ন ক্যাটাগরির (শ্রেণির) প্রায় ৩০০টি সমবায় সমিতি রয়েছে। এর মধ্যে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির (বহুমুখী সমবায় সমিতি) রয়েছে। সমবায় কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবছর নভেম্বরের প্রথম শনিবার জাতীয়ভাবে সমবায় দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। সরকারিভাবে দিবসটি উদযাপনের জন্য ছিল বরাদ্দও। কিন্তু দিবস উদযাপনের নামে গত এক সপ্তাহ ধরে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে নামেন বরিশাল জেলা ও উপজেলা সমবায় অফিস। অভিযোগ উঠেছে বরিশাল জেলা সমবায় অফিসার গোলাম কবির শরীফ তার অধিনস্ত অফিসার ও সমবায়ীদের থেকে দিবস পালনের জন্য চাঁদা আদায় করেছেন। জেলা সমবায় অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, আমার নাম গোপন রাখবেন যদি যদি প্রকাশ করেন তাহলে আমি হয়রানীর শিকার হবো। বরিশালের বড় আকারের একটি সমবায় সমিতির কর্মকর্তা জানান, তিন-চার দিন আগে সমবায় কর্মকর্তারা তাঁদের কার্যালয়ে এসে সমবায় দিবস উদযাপনের জন্য একটি চিঠি দেন। পরে দিবস উদযাপনের জন্য তাঁদের সমিতির জন্য ১০ হাজার টাকা চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন। একই দাবী করেছেন বিভিন্ন সমবায় সমিতির লোকজন। তারা জানান, সমবায় কর্মকর্তাদের হুমকির কারণে তাঁরাও চাঁদা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা সমবায় অফিসার গোলাম কবির শরীফ বলেন, আমার জানামাতে এ ধরনের কোন চাঁদাবাজীর ঘটনাই ঘটেনি। তারপরও আমার অজান্তে কোন কিছু হয়ে থাকলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আমার সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কেউ অযাচিত অভিযোগ করে থাকতে পারে।