নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৫৭, নভেম্বর ০৭ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে ঘুস বাণিজ্যের এবং বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এবং উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে উপজেলার দশমিনা সদর ও বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই দুটি ইউপি নির্বাচনে মোট ১৮টি ভোট কেন্দ্রের জন্য ১৮ জন প্রিসাইডিং, ১২৮ জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ২৫৬ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে ঘুস বাণিজ্যের আশ্রয় নিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান। উপজেলার কয়েকটি সরকারি দপ্তরের কয়েকজন প্রধান কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বিভিন্ন পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ঘুস বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন। আর এসব ঘুস বাণিজ্যের সহায়তার জন্য তিনি নিজের ভাইকে অফিসে কোনো প্রকার নিয়োগ ছাড়াই বসিয়ে ঘুস বাণিজ্যে তার সহায়তা নিচ্ছেন। নিজের খেয়ালখুশি মতো নির্বাচন পরিচালনায় নিয়োগ দিচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন সময় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এজন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা তার ওপর ক্ষুব্ধ। জসিম নামে এক শিক্ষক জানান, সহকারী প্রিসাইডিংয়ের দায়িত্ব পালন না করতে চাইলেও তাকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান দায়িত্ব পালনের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। অভিযোগের বিষয় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল কাইয়ূম বলেন, ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে প্রিসাইডিং নিয়োগ নিয়ে দুই-একজন কর্মকর্তা তার কাছে ক্ষোভ জানিয়েছেন।